ঘটনার পর থেকে মেডিকেলের সামনের শতাধিক ওষুধের দোকান বন্ধ থাকায় দুর্ভোগে পড়েছেন রোগীরা।
Published : 15 Aug 2023, 12:28 PM
খুলনা মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে হাসপাতালের সামনের ওষুধ ব্যবসায়ীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া এবং সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
এ ঘটনায় কমপক্ষে ১৫ শিক্ষার্থী এবং ৯ জন ওষুধ ব্যবসায়ী আহত হয়েছেন। এর মধ্যে তিন শিক্ষার্থীর অবস্থা গুরুতর।
ঘটনার পর থেকে মেডিকেলের সামনের শতাধিক ওষুধের দোকান বন্ধ রয়েছে। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন ওই হাসপাতালের সাধারণ রোগীরা।
খুলনা মেডিকেল কলেজের উপাধ্যক্ষ ডা. মেহেদী নেওয়াজ বলেন, “সোমবার সন্ধ্যায় হাসপাতালের সামনের বিপ্লব মেডিসিন কর্নার নামের একটি দোকানে ওষুধ কিনতে যায় প্রথমবর্ষের একজন শিক্ষার্থী। কিন্তু ওই দোকান থেকে ওষুধটির দ্বিগুণ দাম চাওয়া হয়।
“এ নিয়ে বাকবিতণ্ডার একপর্যায়ে ওই শিক্ষার্থীকে মারধর করেন দোকানের কর্মচারীরা। পরে ওই শিক্ষার্থী হোস্টেলে ফিরে এসে অন্যদের ব্যাপারটি জানায়।
“এরপর কয়েকজন শিক্ষার্থী ওই দোকানে গেলে অন্য ব্যবসায়ীরাও শিক্ষার্থীদের ওপর চড়াও হন। এতে বিভিন্ন বর্ষের অন্তত ১৫ জন শিক্ষার্থী আহত হন।”
মেহেদী নেওয়াজ জানান, এরমধ্যে ২৯ ব্যাচের আনান, ৩১ ব্যাচের মাহাদি ও দেব চৌধুরীর অবস্থা আশঙ্কাজনক। তারা মাথায় আঘাত পেয়েছেন। তাদের সিটি স্ক্যান ও অন্যান্য পরীক্ষা করানো হচ্ছে।
হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি সাইফুল ইসলাম অন্তর ও সাধারণ সম্পাদক শামসুজ্জোহা সজিব বলেন, ওষুধের দাম বেশি রাখার প্রতিবাদ করায় শিক্ষার্থীদের খুব বাজেভাবে মারা হয়েছে। গুরুতর আহত শিক্ষার্থীদের চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরের মধ্যে হামলাকারীদের গ্রেপ্তার না করা হলে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতির হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন তারা।
অপরদিকে ওষুধ ব্যবসায়ী সমিতির কেন্দ্রীয় পরিচালক জিল্লুর রহমান জুয়েল বলেন, ওই শিক্ষার্থী কম টাকার ওষুধ কেনার পর ১০ শতাংশ কমিশন চেয়েছিলেন। তবে দোকানদার ওই কমিশন দিতে রাজি না হওয়ায় দুজন বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন।
এ সময় মেডিকেল কলেজের হল থেকে শিক্ষার্থীরা এসে ওই দোকানে হামলা ও ভাঙচুর চালায়। হামলার ঘটনায় ৯ জন ওষুধ ব্যবসায়ী আহত হয়েছেন। অন্যান্য দোকানও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
জুয়েল আরও বলেন, “যেকোনো ধরনের সংঘাত এড়ানোর জন্য আমাদের দোকানগুলো বন্ধ রাখা হয়েছে। হাসপাতাল ও কলেজ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের এডিসি (সাউথ) শেখ ইমরান জানান, খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে মেডিকেল ছাত্রদের সঙ্গে ওষুধ ব্যবসায়ীদের সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
ইমরান জানান, হামলাকারীদের আটক করার চেষ্টা চলছে। মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং ওষুধের দোকানের সামনে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।