ইজতেমা মাঠে প্রবেশের অনুমতি নেই, তারপরও বহু নারী আখেরি মোনাজাতে অংশ নিয়েছেন; তাদের কেউ সন্তানের রোগমুক্তি কামনা করেছেন, কেউ পাপের জন্য ক্ষমা চেয়েছেন।
রোববার সকালে ময়দানের পাশে শহীদ আহসান উল্ল্যাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতাল এলাকায় শতাধিক নারীকে আখেরি মোনাজাতের জন্য অপেক্ষা করতে দেখা যায়। এছাড়া বিভিন্ন অলিগলিতেও নারীদের উপস্থিতি দেখা যায়।
বেলা ১০টায় ইজতেমা মাঠ থেকে আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করেন কাকরাইল মারকাজের তাবলিগ জামায়াতের সুরা সদস্য মাওলানা মো. জোবায়ের হাসান। মাইকে শুনে সেই মোনাজাতে শামিল হন মাঠের বাইরে রাস্তা, ফুটপাত, বিভিন্ন ভবন ও ছাদে অবস্থান নেওয়া লাখো নারী-পুরুষ।
ময়মনসিংহের ফুলপুর থেকে আসা ৬৫ বছর বয়সী আসমা আক্তার বলেন, শনিবার রাত ১২টার দিকে নাতিকে সঙ্গে নিয়ে টঙ্গীর উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন তিনি।
ভোর সাড়ে ৫টার দিকে তাকে ময়দান থেকে আট কিলোমিটার দূরে নামিয়ে দেয় বাস। সেখান থেকে হেঁটে ময়দানের পাশে শহীদ আহসান উল্ল্যাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতাল এলাকায় অবস্থান নিয়েছেন।
এক কষ্ট করে কেন এসেছেন জানতে চাইলে বলেন, “আল্লাহ কাছে চাইতে এসেছি। পাপের জন্য ক্ষমা চাইব, লাখ লাখ মানুষের মাঝে আল্লাহ তো আমার কথা শুনবেন।”
ময়মনসিংহ থেকে আসা সালমা বেগম বলেন, পরিবারের তিন সদস্য ও চার প্রতিবেশীকে সঙ্গে নিয়ে ইজতেমার আখেরি মোনাজাতে অংশ নিতে এসেছেন ভোরে। ‘আল্লাহকে খুশি করতে’ তিনি এখানে এসেছেন।
কিশোরগঞ্জের কুলিয়ার চর থেকে আসা রোকসানা আক্তার বললেন, পাঁচ বছর বয়সী অসুস্থ সন্তানের রোগমুক্তির জন্য আল্লাহর কাছে দয়া চাইতে এসেছেন তিনি।
“আল্লাহ আমার সন্তানকে ক্ষমা করে রোগমুক্তি করবেন, আমার পরিবারকে ক্ষমা করবেন।”
টাঙ্গাইল থেকে আসা রমজান শেখ বলেন, “ইজতেমা মাঠে নারীদের ব্যবস্থা নেই। অনেকে ভাবেন, ইজতেমা শুধু পুরুষদের জন্য। কিন্তু এত কষ্ট করে এসে নারীরাও ইজতেমার মোনাজাতে অংশ নিচ্ছেন, সত্যি প্রশংসার।”