গ্রিসে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যাওয়া এক ব্যক্তির মরদেহ আসার কথা ছিল। এ জন্য দাফনের সব প্রস্তুতি নিয়ে অপেক্ষায় ছিলেন পরিবারের সদস্যরা। কিন্তু জানাজার আগে কফিন খুলে দেখা যায় মৃত আফছর মিয়ার বদলে অন্য এক ব্যক্তির মরদেহ রয়েছে সেখানে।
পরে জানা গেছে, কফিনে ছিল মুন্সীগঞ্জের জালাল মিয়ার। তিনি গ্রিসে মারা যান হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে। ভুলবশত এ দুজনের কফিনে নামের স্টিকার অদলবদল হওয়ায় এ ঘটনা ঘটে।
সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ থানার ওসি মো. খালেদ চৌধুরী জানান, শান্তিগঞ্জ উপজেলার ধামোধরতপি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। প্রবাসী ৪০ বছর বয়সী আফছর মিয়া ওই গ্রামের জমসিদ আলীর ছেলে।
“গ্রিস কর্তৃপক্ষের ভুলে প্রবাসী আফছরের বদলে সেই দেশে মৃত বাংলাদেশের আরেক যুবকের মৃতদেহ পাঠিয়ে দেয়। তবে সোমবার আফছরের মরদেহ দেশে ফিরবে।”
খালেদ চৌধুরী জানান, গত ২৮ ফেব্রুয়ারি লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত হয়ে গ্রিসের রাজধানী এথেন্সের একটি হাসপাতালে মারা যান আফছর।
“সেখানে তার সঙ্গে ছিলেন ছোট ভাই এমরান মিয়া। আফছরের মরদেহ দেশে আনার সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করে দেশে ফেরেন এমরান।”
ওসি জানান, শুক্রবার রাতে একটি ফ্রিজিং ভ্যানে আফছরের মরদেহ বাড়িতে এলে স্বজনরা কান্নায় ভেঙে পড়েন। এর আগে স্বজনরা এলাকায় মাইকিং করে শনিবার সকালে জানাজার নামাজের প্রচার করেন এবং কবর খুঁড়ে রাখেন।
“ফ্রিজিং ভ্যান থেকে মরদেহ নামানোর পর স্বজনরা তার মুখ দেখতে গিয়ে হতভম্ব হয়ে পড়েন। লাশটি আফছরের নয়।”
ওসি আরও বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ শনিবার সকালে ঘটনাস্থলে যায়। ঢাকায় যোগাযোগ করে পুলিশ জানতে পারে যে মরদেহটি মুন্সীগঞ্জের টঙ্গিবাড়ি উপজেলার শিলনপুর গ্রামের জালাল মিয়ার।
“তিনি গ্রিসে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মরা যান। ভুলবশত আফছর মিয়ার নামের স্টিকারটি জালাল মিয়ার কফিনে লাগিয়ে দেওয়ায় লাশ অদল-বদল হয়ে গেছে।”
অপছর মিয়ার এক স্বজন আলমগীর চৌধুরী জানান, মরদেহ দাফনের জন্য সব রকম প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু মরদেহ বাড়িতে এলে দেখা গেল এটি অন্যজনের।
আইনি প্রক্রিয়া শেষে শনিবার রাতে মরদেহটি মুন্সীগঞ্জে পাঠানো হয়েছে; সোমবার আফছরের লাশ দেশে আসবে বলে জানান ওসি খালেদ চৌধুরী।