কক্সবাজারের বিশিষ্টজন, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক পীযুষ কান্তি চৌধুরী আর নেই।
বৃহস্পতিবার বেলা ৩টার দিকে জেলা শহরের থানা সড়কের নিজ বাসায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৫ বছর।
মুক্তিযুদ্ধে কক্সবাজারের শহীদ বুদ্ধিজীবী জ্ঞানেন্দ্র লাল চৌধুরীর একমাত্র ছেলে পীযুষ কান্তি চৌধুরী।
তার বাবা জ্ঞানেন্দ্র লাল চৌধুরীকে একাত্তরের মে মাসে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী ধরে নিয়ে যায়। এরপর ওই সময়ের জেলা সার্কিট হাউজে গণহত্যার শিকার হন জ্ঞানেন্দ্র লাল। তবে তার মরদেহ পাওয়া যায়নি।
তার একমাত্র ছেলে পীযুষ কান্তি চৌধুরী কক্সবাজার মহকুমা ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি হিসেবে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে সংগঠকের দায়িত্ব পালন করেন।
তিনি কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের খ্যাতিমান আইনজীবী, জেলা আইনজীবী সমিতির একাধিকবার নির্বাচিত সভাপতি, ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ-মোজাফফর) কক্সবাজার জেলা শাখার আমৃত্যু সভাপতি, কক্সবাজার স্বরস্বতিবাড়ি মন্দির ট্রাস্টি কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।
কক্সবাজারের প্রগতিশীল ও সাংস্কৃতিক আন্দোলনের সংগঠনের অন্যতম পৃষ্ঠপোষকও ছিলেন পীযুষ কান্তি।
তিনি শিক্ষক সহধর্মিনী, একমাত্র আইনজীবী কন্যা, আত্মীয়-স্বজন, গুণগ্রাহী, সহকর্মী ও অসংখ্য বন্ধু-বান্ধব রেখে গেছেন।
শুক্রবার সকাল ১০টায় কক্সবাজার জেলা শহরের বাঁকখালী নদীর তীরে কেন্দ্রীয় মহাশ্মশানে পীযুষ কান্তি চৌধুরীর শেষকৃত্য অনুষ্ঠিত হবে বলে তার স্বজনরা জানান।