রাজশাহীতে পুলিশ সদস্য দম্পতির উপর হামলা মামলায় অপ্রাপ্তবয়স্ক পাঁচজন খেলোয়ারের জামিন দিয়েছে আদালত।
সোমবার দুপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল ২ এর আদালতে শুনানি শেষে বিচারক তাদের জামিন মঞ্জুর করেন বলে আসামি পক্ষের আইনজীবী মাইনুর রহমান জানান।
তাদের সবার বয়স ১৪ থেকে ১৭ এর মধ্যে।
আইনজীবী বলেন, “মামলায় আদালতে অভিযোগপত্র দেওয়ার আগ পর্যন্ত তাদের জামিন দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে জামিনে থাকাকালে তাদের আচার-আচরণ মনিটরিং করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য সমাজসেবা ও প্রবেশন কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেয় আদালত।”
আদালতের পরিদর্শক পরিমল চক্রবর্তী জানান, কোচসহ গ্রেপ্তার ১২ জনের মধ্যে প্রাপ্তবয়স্ক সাতজন। রোববার রাতেই তাদের রাজশাহীর মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতে তোলা হয়েছিল।
ওই আদালতের বিচারক মো. লিটন হোসেন ওই সাতজনকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। পরে তাদের রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়।
বাকিদের মধ্যে চার নারী খেলোয়ারসহ পাঁচজন অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় তাদের সোমবার ১০টা পর্যন্ত অন্তবর্তী জামিন দিয়ে পরিবারের জিম্মায় দেওয়া হয়েছিল। আজ শুনানি শেষে আদালত তাদের জামিন মঞ্জুর করে।
এর আগে শেখ কামাল দ্বিতীয় বাংলাদেশ যুব গেমসের আসরে অংশ নিয়ে ফেরার পথে রাজশাহী স্টেশন থেকে গ্রেপ্তার হন এক কোচসহ ১২ খেলোয়াড়।
কোচ বাদে গ্রেপ্তার ১১ খেলোয়াড়ের মধ্যে তিনজন ছেলে ও আটজন মেয়ে।
রাজশাহীর বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দা এসব খেলোয়ার জুডো, কুস্তি, কারাতেসহ বিভিন্ন খেলা খেলেন।
তাদের বিরুদ্ধে গোলাম কিবরিয়া নামের এক পুলিশ সদস্যের স্ত্রী মামলা করেন।
মামলায় ঢাকা থেকে ট্রেনে রাজশাহীতে আসার সময় স্টেশনে পুলিশ সদস্যকে পেটানো ও বাদী রাজিয়া সুলতানা জয়ার গলার সোনা চেইন চুরির অভিযোগ আনা হয় বলে ওই রেলওয়ে থানার ওসি গোপাল কুমার জানান।
ওসি আরও জানান, গোলাম কিবরিয়া জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ এ কর্মরত। তার বাড়ি রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার প্রেমতলী খেতুর গ্রামে।
আরও পড়ুন: