আচরণবিধি লঙ্ঘন: সিলেটে দুই মেয়র প্রার্থীকে কারণ দর্শানোর নোটিস

তিন কার্যদিবসের মধ্যে প্রার্থী অথবা তার নির্বাচিত প্রতিনিধি রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে গিয়ে নোটিসের জবাব দিতে হবে।

সিলেট প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 30 May 2023, 01:34 PM
Updated : 30 May 2023, 01:34 PM

সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনের দুই মেয়র প্রার্থীকে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে কারণ দর্শানোর নোটিস দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।

মঙ্গলবার সিলেট সিটি নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ফয়সল কাদেরের সই করা এ নোটিস আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী ও জাতীয় পার্টির প্রার্থী নজরুল ইসলাম বাবুলের কাছে পাঠানো হয়।

একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদনের তথ্য উল্লেখ করে প্রত্যেকের কাছে পাঠানো নোটিসে বলা হয়, “আপনি নির্বাচনী প্রতীক বরাদ্দের আগেই প্রচারপত্র বিতরণ ও গণসংযোগ করেছেন।”

প্রার্থীদের এমন কর্মকাণ্ডের জন্য আচরণ বিধিমালার বিধি ৩২ অনুযায়ী প্রকাশিত সংবাদের বিষয়ে কেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে না তা লিখিতভাবে প্রার্থীদের কাছ থেকে জানতে চেয়েছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা।

নোটিসে বলা হয়, “আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে আপনি স্বয়ং অথবা আপনার উপযুক্ত প্রতিনিধির মাধ্যমে রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে লিখিত জবাব দিতে অনুরোধ করা হলো।” 

সিটি করপোরেশন (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা, ২০১৬-এর বিধি ৫ এর উল্লেখ করে চিঠিতে আরও বলা হয়, “কোনো প্রার্থী বা তার পক্ষে কোনো রাজনৈতিক দল, অন্য কোনো ব্যক্তি, সংস্থা বা প্রতিষ্ঠান প্রতীক বরাদ্দের আগে কোনো ধরনের নির্বাচনী প্রচার শুরু করতে পারবেন না।”

এ বিষয়ে জানতে মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীর ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরে একাধিকবার টেলিফোন করা হলেও তিনি সাড়া দেননি।

অন্যদিকে জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীসহ সমর্থক, শুভাকাঙ্ক্ষী ও স্বজনদের নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন না করতে আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় পার্টির প্রার্থী নজরুল ইসলাম বাবুল।

বিকালে জাতীয় পার্টি সিলেট মহানগর শাখার সদস্য সচিব আব্দুশ শহিদ লস্কর বশির স্বাক্ষরিত গণমাধ্যমে পাঠানো এক চিঠিতে এ আহ্বান জানানো হয়।

চিঠিতে নজরুল ইসলাম বাবুল জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীসহ সমর্থক, শুভাকাঙ্ক্ষী ও স্বজনদের উদ্দেশ্য করে বলেছেন, “নির্বাচনী আচরণবিধি কোনোভাবেই লঙ্ঘন করা যাবে না। আমাদের আচরণ যেন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ও তাদের কর্মী সমর্থকদের মনে কষ্ট না দেয়–সেদিকে লক্ষ রেখে সবাইকে কাজ করতে হবে।”

নির্বাচনী কর্মতৎপরতা যেন আচরণবিধি লঙ্ঘনের পর্যায়ে না যায়, সেদিকে সবাইকে খেয়াল রেখে কাজ করতে আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, “ব্যানার-পোস্টার সাঁটানো থেকে শুরু করে লিফলেট বিতরণ, জনসভা, গণসংযোগ অর্থাৎ যাবতীয় কাজ যেনো নির্বাচনী আচরণবিধি মেনে করা হয়।”