বিএনপি নেতারা বলছেন, অধিকাংশ নেতা-কর্মী আগেই ঢাকায় চলে গেছেন। যারা এখনো যাননি, তারা নিজ বাসা ছেড়ে অন্য জায়গায় থাকছেন।
Published : 28 Jul 2023, 03:21 PM
ঢাকায় বিএনপি ও আওয়ামী লীগের পাল্টাপাল্টি সমাবেশের আগে সাভার ও আশুলিয়ায় ঢাকার প্রবেশপথে চেকপোস্ট বসিয়ে ব্যাপক তল্লাশী করছে পুলিশ। সন্দেহভাজন কাউকে দেখলে নেওয়া হচ্ছে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ।
এ ছাড়া আগের রাতে সাভার ও আশুলিয়ায় বিএনপির নেতা-কর্মীদের বাড়িতে বাড়িতে পুলিশী তল্লাশির অভিযোগ উঠেছে।
শুক্রবার সকাল থেকে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের আমিনবাজার ২০ শয্যা হাসপাতালের সামনে চেকপোস্ট বসিয়ে তল্লাশী কার্যক্রম চালায় জেলা পুলিশ ও ডিবি পুলিশ।
সেখানে তাদের পাশাপাশি সাদা পোশাকধারী একদল ব্যক্তিকেও বিভিন্ন জনকে তল্লাশি ও জিজ্ঞাসাবাদ করতে দেখা গেছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বেশ কয়েকজনকে চেকপোস্টের কাছে হাসপাতালের ভেতরে নিয়ে যেতেও দেখা গেছে।
তবে আটক ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলতে ও ছবি তুলতেও পুলিশ বাধা দিচ্ছে বলে অভিযোগ সাংবাদিকদের।
এ ছাড়া সন্দেহভাজন কত জনকে আটক করা হয়েছে সে ব্যাপারেও কিছু বলতে রাজী হননি সাভার মডেল থানা ওসি দীপক চন্দ্র সাহা।
আশুলিয়া থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য যাচ্ছিলেন হোসেন আলী নামে এক ব্যক্তি। অন্যান্য যাত্রীদের মতো তাকে বাস থেকে নামিয়ে তল্লাশী করেছে পুলিশ। এমনকি তার মুঠফোনও চেক করেছে। কিছু না পেয়ে তাকে ছেড়ে দেয়।
ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, “বাধ্য হয়ে অসুস্থ্ শরীর নিয়ে পায়ে হেঁটেই যেতে হচ্ছে। এভাবে হয়রানীর কোনো মানে হয় না।”
ঢাকা জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস ও ট্রাফিক উত্তর বিভাগ) আব্দুল্লাহ হিল কাফী বলেন, “এটি আমাদের নিয়মিত চেকপোস্ট কার্যক্রমের অংশ। পাশাপাশি যেহেতু রাজধানীতে দুটি রাজনৈতিক দলের কর্মসূচি রয়েছে এবং মানুষের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করাটা আমাদের দায়িত্ব, তাই আমরা অতিরিক্ত সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে কেউ যেন কোনো অরাজক পরিস্থিতি তৈরির সুযোগ না পায়, সেজন্য তল্লাশি কার্যক্রমে জোর দিচ্ছি।”
এর আগে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর থেকেও আমিনবাজার এলাকায় ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের ঢাকাগামী লেনে বিভিন্ন পরিবহনেও তল্লাশি করেছে পুলিশ।
এদিকে বিএনপির নেতা-কর্মীদের দাবি, বৃহস্পতিবার রাতে সাভার ও আশুলিয়ায় বিএনপির নেতা-কর্মীদের বাড়িতে বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছে পুলিশ।
তবে অধিকাংশ নেতা-কর্মী মহাসমাবেশে যোগ দিতে আগেই ঢাকায় চলে গেছেন। যেসব নেতা-কর্মী এখনো যাননি, পুলিশের হয়রানির ভয়ে তাঁরা নিজ বাসা ছেড়ে অন্য জায়গায় থাকছেন।
সাভার থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা বলেন, “পুলিশের হয়রানি ও গ্রেপ্তারের ভয়ে নেতা-কর্মীরা নিজের বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র রাত যাপন করেছে।
“আমার নিজের বাসায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা গিয়ে তল্লাশি করেছেন। আমরা সবাই বাড়িছাড়া। পথে পথে তল্লাশি চালিয়েও নেতা-কর্মীদেরও আটক করা হচ্ছে।”