অব্যাহতিপ্রাপ্ত সহকারী প্রিজাইডিং কর্মকর্তা বলেন, “১০ থেকে ১৫ জন যুবক বুথে এসে ব্যালট পেপার কেড়ে নিয়ে গোপন কক্ষে গিয়ে সিল মেরেছে।”
Published : 08 May 2024, 04:22 PM
বগুড়ার গাবতলীতে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে একদল যুবক কেন্দ্রে প্রবেশ করে ব্যালট পেপার ছিনিয়ে নিয়ে সিল মেরেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ ঘটনায় ভোটারের স্বাক্ষরবিহীন ব্যালট পেপারের ছয়টি মুড়ি উদ্ধার করা হয়েছে; যেখানে ৬০০ ব্যালট পেপার ছিল।
বুধবার সকাল ১০টায় উপজেলার সোনারায় উচ্চ বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে বলে কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার এ টি এম আমিনুর রহমান জানান।
এ ঘটনায় ওই কেন্দ্রের দুই সহকারী প্রিজাইডিং কর্মকর্তা তারিকুল ইসলাম ও হাফিজুর রহমানকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়ে নতুন কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
প্রিজাইডিং কর্মকর্তা আমিনুল রহমান বলেন, “বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান ও আনারস মার্কার প্রার্থী রফি নেওয়াজ খান রবিনের ১০-১৫ জন সমর্থক সোনারায় উচ্চ বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে এসে দ্বিতীয় তলায় অবস্থান নেন। তারা সেখানকার ৪ ও ৫ নম্বর বুথে ঢুকে ব্যালট পেপার ছিনিয়ে নিয়ে সিল মারেন।
“খবর পেয়ে জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম সাদিয়া আফসানা রিমা ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন। তিনি ব্যালট পেপারের মুড়িতে ভোটারের স্বাক্ষর না থাকা ছয়টি বই জব্দ করেন।”
প্রিজাইডিং কর্মকর্তা বলেন, “ব্যালট খুলে দেখি মুড়িতে ভোটদাতার সিল ও স্বাক্ষর নেই।”
তিনি আরও বলেন, “ভোট গণনার সময় সব ব্যালট ভালভাবে যাচাই-বাছাই করা হবে। যেখানে ভোটারের নিয়মিত স্বাক্ষর ও কর্মকর্তার সিল থাকবে না সেগুলো বাতিল করা হবে।”
অব্যাহতিপ্রাপ্ত সহকারী প্রিজাইডিং কর্মকর্তা হাফিজুর রহমান বলেন, “১০ থেকে ১৫ জন যুবক বুথে এসে ব্যালট পেপার কেড়ে নিয়ে গোপন কক্ষে গিয়ে সিল মেরেছে। তাদের আমি চিনি না। নিরুপায় হয়ে মেনে নিয়েছি।”
জেলার জ্যেষ্ঠ নির্বাচন কর্মকর্তা মাহামুদ হাসান বলেন, “যেখানে অভিযোগ আছে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ভোটগ্রহণ চলবে।”
ওই কেন্দ্রের মোট ভোটার ৫ হাজার ৪০৪। এর মধ্যে দুপুর ২টা পর্যন্ত ভোট দিয়েছেন ৭৪২ ভোট।