পাবনায় পরিবহন শ্রমিকদের মহাসড়ক অবরোধ, ভোগান্তিতে যাত্রীরা

কাশীনাথপুর থেকে ঢাকাগামী যাত্রীরা কাজীরহাট ফেরিপথে এবং পাবনা শহর থেকে ছেড়ে আসা বাসগুলো সাঁথিয়া উপজেলার মাধপুর-বেড়া সড়ক হয়ে যাচ্ছে ঢাকা যাচ্ছে।

পাবনা প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 May 2023, 12:09 PM
Updated : 25 May 2023, 12:09 PM

সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে ছয়টি গাড়ি ভাঙচুর ও মারধরের অভিযোগে পাবনার বেড়া উপজেলায় মহাসড়ক অবরোধ করেছেন পরিবহন মালিক-শ্রমিকরা। এতে কাশিনাথপুর থেকে বগুড়া, সিরাজগঞ্জ ও ঢাকাগামী যাত্রীরা ভোগান্তিতে পড়েছেন। 

বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বেড়া উপজেলার কাশীনাথপুর এলাকায় ঢাকা-পাবনা মহাসড়ক অবরোধ শুরু করেন পাবনা জেলা মোটর মালিক গ্রুপ (নগরবাড়ি) ও পাবনা জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের (নগরবাড়ি) নেতাকর্মীরা। 

ফলে ঢাকা, পাবনা, সিরাজগঞ্জ, বগুড়াগামী লোকজন কাশীনাথপুর মোড়ে এসে আটকা পড়েন। দীর্ঘ সময় অপেক্ষার অনেকেই ভেঙে ভেঙে হালকা যানবাহনে চড়ে বা বিকল্প ব্যবস্থায় নিজেদের গন্তব্যে রওয়ানা দেন। 

দেখা গেছে, যাত্রীদের অতিরিক্ত ভাড়ার বিনিময়ে সিএনজিচালিত ও ব্যাটারিচালিত অটোরিকশায় পাবনা শহরে যেতে হচ্ছে। অন্যদিকে কাশীনাথপুর থেকে ঢাকাগামী যাত্রীরা কাজীরহাট ফেরিপথে এবং পাবনা শহর থেকে ছেড়ে আসা বাসগুলো সাঁথিয়া উপজেলার মাধপুর-বেড়া সড়ক হয়ে যাচ্ছে ঢাকা যাচ্ছে।

স্থানীয় যাত্রী শফিকুল ইসলাম বলেন, “জরুরি প্রয়োজনে পাবনায় যাওয়া প্রয়োজন ছিল। কিন্তু এখন ফিরে যাচ্ছি।” 

প্রতিদিন বাসে কর্মস্থল দুলাই কলেজে যান জানিয়ে শহিদুল ইসলাম বলেন, আজ বেশি ভাড়া দিয়ে যেতে হচ্ছে। 

পাবনা জেলা মোটর মালিক গ্রুপ এবং জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের নেতারা জানিয়েছেন, কিছুদিন আগে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে পাবনা জেলার মালিকদের ছয়টি গাড়ি ভাঙচুর করেন সেখানকার শ্রমিক ও মালিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা। এতে প্রায় দুই-তিন লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। এর ক্ষতিপূরণসহ সমঝোতা না হলে নগরবাড়ি থেকে বগুড়াসহ বিভিন্ন রুটে যান চলাচল বন্ধ থাকবে। 

পাবনা জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম মুক্তি বলেন, “শাহজাদপুরে প্রায়ই আমাদের শ্রমিকদের মারধর করা হয়। এমন আচরণ করা যাবে না। এই হয়রানি বন্ধ করতে হবে। বিচার না হওয়া পর্যন্ত এবং শ্রমিকদের নিরাপত্তার নিশ্চয়তা না পাওয়া পর্যন্ত আমাদের অবরোধ চলবে।” 

শাহজাদপুরের যেসব বাস মালিক ও শ্রমিক মারধরে জড়িত তাদের বিচার ও উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ না দেওয়া পর্যন্ত অবরোধ চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন পাবনা জেলা মোটর মালিক গ্রুপের (নগরবাড়ি) সভাপতি মোখলেছুর রহমান মুকুল। 

এ বিষয়ে বেড়া সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার কল্লোল কুমার দত্ত বলেন, “মাঝে মধ্যেই এ ধরনের ঘটনার খবর পাওয়া যায়। পাবনার বেড়া উপজেলা ও সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার বাস মালিক এবং শ্রমিক নেতাদের মধ্যকার দ্বন্দ্ব নিরসনে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আশা করছি, দ্রুত সমঝোতা হয়ে যাবে।”