ঝালকাঠিতে বিএনপি নেতাকে পিটিয়ে রক্তাক্ত

ঝালকাঠি শিল্পকলা একাডেমির সামনের সড়কে তার প্রাইভেটকার আটকে ভাঙচুর করা হয়; তাকে গাড়ি থেকে টেনেহিঁচড়ে নামিয়ে মারধর করা হয়।

ঝালকাঠি প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 7 August 2022, 06:22 PM
Updated : 7 August 2022, 06:22 PM

ঝালকাঠিতে জেলা বিএনপির এক নেতার উপর হামলা হয়েছে, যার জন্য ছাত্রলীগসহ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের দায়ী করা হচ্ছে।

রোববার সন্ধ্যায় শহরের শিল্পকলা একামেডির সামনে এ হামলা হয় বলে বিএনপি নেতারা জানিয়েছেন।

আহত জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য রফিকুল ইসলাম জামালকে বরিশালে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

রফিকুল ইসলাম জামাল অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীকে ঝালকাঠি-১ আসনে নির্বাচন করেছিলেন।

জেলা বিএনপির সদস্যসচিব শাহাদাৎ হোসেন অভিযোগ করেন, ভোলা জেলা ছাত্রদল সভাপতি নুরে আলম ও স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা আব্দুর রহিমের মৃত্যুতে ঝালকাঠি জেলা বিএনপি শহরের গোরস্থান মসজিদে দোয়া অনুষ্ঠান করে।

“অনুষ্ঠান থেকে রফিকুল ইসলাম জামাল প্রাইভেটকারে বরিশাল যাওয়ার পথে ঝালকাঠি শিল্পকলা একাডেমির সামনের সড়কে বেরিকেড দিয়ে ছাত্রলীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা প্রাইভেটকার ভাঙচুর করেন।

“গাড়ি থেকে তাকে টেনেহিঁচড়ে বাইরে এনে মারধর করে। তার সফরসঙ্গীদের ডাক চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়।”

তিনি জানান, আহত রফিকুল ইসলাম জামালকে প্রথমে সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে বরিশালে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

আহত রফিকুল ইসলাম জামালের অভিযোগ, তার গাড়ি থামিয়ে ছাত্রলীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা তার উপর হামলা চালিয়ে রক্তাক্ত যখম করেন। তার গাড়িটিও ভাংচুর করা হয়।

তবে হামলার অভিযোগ অস্বীকার করে ঝালকাঠি জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তরিকুল ইসলাম পারভেজ বলেন, ঝালকাঠিতে জেলা বিএনপির গ্রুপিং রয়েছে। এ হামলা নিজের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের কারণ। ছাত্রলীগ বা যুবলীগের কেউ এ ঘটনার সাথে জড়িত নয়।

সদর হাসপাতালে জরুরি বিভাগে চিকিৎসক মেহেরিন আফরোজ বলেন, “রফিকুল ইসলাম জামাল নামে একজন আহত হয়ে আমাদের কাছে চিকিৎসা নিতে এসেছিলেন।”

তার নাকে জখম হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশালে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে তিনি জানান।

হামলার খবর পেয়ে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সৈয়দ হোসেন, সদস্যসচিব শাহাদাত হোসেন, জেলা যুবদল আহ্বায়ক শামীম তালুকদারসহ বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা তাকে দেখতে সদর হাসপাতালে ছুটে যান।

তারা জামালের উপর হামলায় দোষীদের বিচার দাবি করেন।