“এখন পর্যন্ত নির্বাচনের পরিবেশ খুব বেশি খারাপ বলা যাবে না।”
Published : 03 Jan 2024, 02:37 PM
দলের নেতৃত্বের ওপর দোষ চাপিয়ে বিভিন্ন স্থানে ঘোষণা দিয়ে জাতীয় পার্টির যেসব প্রার্থী ভোটের মাঠ ছেড়ে যাচ্ছেন তারা দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থি কাজ করছেন এবং তাদের বিষয়ে ‘ব্যবস্থা নেওয়ার’ কথা বলেছেন দলটির চেয়ারম্যান জি এম কাদের।
বুধবার দুপুরে নিজের নির্বাচনি এলাকায় রংপুর-৩ সদর আসনে কমিউনিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসকদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকের সঙ্গে আলাপকালে জাপা প্রধান এসব কথা বলেন।
নির্বাচনি সমঝোতার অংশ হিসেবে জাপাকে ২৬টি আসনে ছাড় দিয়েছে আওয়ামী লীগ। এসব আসনে নৌকার কোনো প্রার্থী নেই। জাতীয় পার্টির নেতারা লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে সারাদেশে মোট ২৮৩টি আসনে লড়াই করছেন- এমনটি জানিয়েছিলেন দলটির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু ।
গত কয়েকদিন ধরে বিভিন্ন স্থানে জাতীয় পার্টির প্রার্থীরা দলের নেতৃত্বের ওপর দোষ চাপিয়ে নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ার ঘোষণা দিচ্ছেন।
জি এম কাদের বলেন, “মিডিয়ার সামনে আমাদের দোষ দিয়ে যারা নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ার ঘোষণা দিচ্ছেন তা দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থি এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে এই কাজ করছেন। যারা নির্বাচন থেকে সরে যাচ্ছেন, তারা নিজেদের স্বার্থে সরে যাচ্ছেন। এগুলো যাচাই-বাছাই করে আগামীতে তাদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”
“আমাদের প্রার্থীরা এখনও বলছেন, তারা ভালো করবেন। তাছাড়া বিপুল প্রার্থী সরে যাওয়ার সম্ভাবনা নেই। যখন সরে যাবে তখন বলা যাবে। তবে সরে গেলে আমাদের ওপর চাপ সৃষ্টি হবে।”
তারপরও জাতীয় পার্টি শেষ সময় পর্যন্ত নির্বাচনে থাকার চেষ্টা করছে জানিয়ে দলটির চেয়ারম্যান বলেন, “এখন পর্যন্ত নির্বাচনের পরিবেশ খুব বেশি খারাপ বলা যাবে না। তবে ভোটারদের যে আশঙ্কা তা উড়িয়ে দেওয়ার মত না। নির্বাচন কমিশন এখন পর্যন্ত বলছে ঠিক আছে এবং ঠিক থাকবে। আমরা সেই বিশ্বাস নিয়েই নির্বাচনে অংশ নিয়েছি। দেখি শেষ পর্যন্ত কী হয়।
“বেশিরভাগ মানুষ যদি মনে করেন নির্বাচনটা ভালো হচ্ছে না, তখন আমাদের চিন্তা করে দেখতে হবে কী করা যায়।”
দলের প্রধান হিসেবে কেন অন্য প্রার্থীদের নির্বাচনি এলাকায় যাচ্ছেন না- এমন প্রশ্নের জবাবে বিরোধী দলীয় উপনেতা বলেন, “যাওয়ার মতো প্রয়োজন হয়নি। যেখানে যেখানে যাওয়ার সেখানে যাচ্ছি। তবে অন্যান্য সময়ের নির্বাচনের মত এই নির্বাচন হচ্ছে না। প্রার্থীরা নিজেরাই প্রচারসহ অন্যান্য কাজ করছেন।”
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান ও রংপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা, জেলা জাতীয় পার্টির সদস্যসচিব আব্দুর রাজ্জাক, মহানগর জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক এস এম ইয়াসীর, সিনিয়র সহসভাপতি লোকমান হোসেন, সহসভাপতি জাহেদুল ইসলাম।