সুনামগঞ্জে নারী ও শিশু নির্যাতনের তিন মামলায় একজনের মৃত্যুদণ্ড ও দুইজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়েছে।
মঙ্গলবার জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. জাকির হোসেন পৃথক রায়ে এই দণ্ডাদেশ দেন বলে পিপি নান্টু রায় জানান।
পিপি বলেন, ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ উপজেলার দোয়ারাবাজার কচুকান্দি গ্রামের কলমদর আলীর ছেলে শামসুদ্দিন মিয়া আরেক গ্রামের এক নারী ও তার কিশোরী মেয়েকে বেঁধে রেখে ভিন্ন ভিন্ন সময়ে ধর্ষণ করেন। পরে এ ঘটনায় মামলা হয়।
এই মামলায় শামসুদ্দিন মিয়াকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়ে অপর দুই আসামিকে খালাস দেওয়া হয় বলে পিপি নান্টু জানান।
আরেকটি মামলার নথি থেকে জানা যায়, তাহিরপুর উপজেলার একটি গ্রামের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রীকে ২০১৮ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি ওই গ্রামেরই আব্দুল আজিজের ছেলে আবিদ হোসেন রিমন ঘরে ঢুকে ধর্ষণ করেন।
এ ঘটনায় ছাত্রীর চাচা পরের দিন তাহিরপুর থানায় ধর্ষণ মামলা করেন। পরবর্তীতে আসামি আবিদ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। মামলার দীর্ঘ প্রক্রিয়া শেষে মঙ্গলবার আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয় আদালত। এছাড়া তাকে এক লাখ টাকা অর্থদণ্ডও দেওয়া হয়।
তৃতীয় মামলাটি মধ্যনগর উপজেলার। যৌতুক ও নারী নির্যাতনে স্ত্রীর মৃত্যুর মামলায় মৃত্যুদণ্ড হয়েছে উপজেলার গলহা গ্রামের বিনয় রায়ের।
এই মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৪ সালের ১ জানুয়ারি হবিগঞ্জের আজমিরিগঞ্জ উপজেলার এক নারীকে বিয়ে করেন বিনয়। বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে মারধর করতেন তিনি। ওই বছরের ৩০ জুলাই আসামি বিনয় রায় তার স্ত্রীকে বেধড়ক মারধর করেন। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয়রা তাকে নেত্রকোণার কলমাকান্দা হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করান; সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান ওই নারী।
এ ঘটনায় ৬ সেপ্টেম্বর হত্যা মামলা করেন ওই নারীর ভাই।