নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে মারধরের পর সাত বছরের এক শিশুর মৃত্যুর ঘটনায় তার সৎ বাবাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বুধবার সকালে সিদ্ধিরগঞ্জের আজিবপুর বাগানবাড়ি এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে থানার ওসি গোলাম মোস্তফা জানান।
শিশুটির মায়ের অভিযোগ, শিশুটিকে কারণে অকারণে মারধর করা হতো। মৃত্যুর আগের দিন ব্যাপক মারধর করা হয় তাকে। তার অবস্থা খারাপ হয়ে গেছে হাসপাতালে নিতেও বাধা দেওয়া হয়।
নিহত শিশুটির নাম আব্দুল্লাহ আহাদ। স্থানীয় একটি মাদ্রাসায় পড়ত সে।
গ্রেপ্তার হয়েছেন আরিফ হোসেন।
শিশুটির মা স্বপ্না আক্তার জানান, রাজধানীর যাত্রাবাড়ী কাজলারপাড় এলাকার জুয়েল মিয়া ও তার সংসারে জন্ম হয় আহাদের। দাম্পত্য কলহের জেরে স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদ হয় তার। এরপর সাত বছরের ছেলেকে নিয়ে দুই মাস আগে আরিফকে বিয়ে করেন তিনি।
বিয়ের পর সিদ্ধিরগঞ্জের আজিবপুর এলাকায় একটি বাসায় ওঠে পরিবারটি।
কিছু হলেই আরিফ তাকে ও তার ছেলেকে মারধর করতেন বলে অভিযোগ করেন স্বপ্না।
তিনি বলেন, গত ২৪ এপ্রিল সকালে আহাদকে পড়তে বসতে বলেন আরিফ। পড়া শেষ হলে দুপুরে বলেন লিখতে। লেখায় ভুল হওয়ায় তাকে মারধর করা হয়। থামাতে গেলে মারধর করা হয় স্বপ্নাকেও।
এ সময় প্রতিবেশীরা এগিয়ে এলেও ক্ষান্ত হননি আরিফ। বরং আহাদকে উপরে তুলে মাথায় আঘাত করেন। এরপর হাসপাতালে নিতেও বাধা দেন।
পরদিন আহাদের শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে মাতুয়াইলে মা ও শিশু মাতৃসদন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি গোলাম মোস্তফা বলেন, “স্বপ্না তার স্বামীর বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেছেন। আসামিকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।”