কিশোরটির মৃত্যুর পর এ বিষয়ে ফেইসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেন হাসপাতালটির আইসিইউ ইনচার্জ।
Published : 10 May 2023, 06:04 PM
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এক সপ্তাহ জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে থেকে মারা গেল অজ্ঞাত পরিচয় এক কিশোর।
হাসপাতালটির আইসিইউ ইনচার্জ আবু হেনা মোস্তফা কামাল জানান, গত মঙ্গলবার রাত দেড়টার দিকে ওই কিশোরের মৃত্যু হয়।
যাকে গত ৩ মে অচেতন অবস্থায় পাবনার ঈশ্বরদী থেকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছিল।
কিশোরটি নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন ছিল।
আনুমানিক ১৫ বছর বয়সী ওই কিশোরের স্বজনদের সন্ধান না পাওয়ায় চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীরাই হাসপাতালে তার দেখা-শোনা করছিলেন।
এদিকে, কিশোরটির মৃত্যুর পর এ বিষয়ে ফেইসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন হাসপাতালের আইসিইউ ইনর্চাজ আবু হেনা মোস্তফা কামাল।
সেখানে তিনি লিখেছেন, “সকল প্রকার প্রচেষ্টা সত্ত্বেও শেষ পর্যন্ত নাম-পরিচয়হীন শিশুটিকে বাঁচানো সম্ভব হলো না। গত রাত ১.৩০ মিনিটে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশু আইসিইউ এর ডাক্তার, নার্স ও স্বাস্থ্য কর্মীদের কাঁদিয়ে পৃথিবী ছেড়ে চলে গেল। (ইন্না-লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন)।”
তিনি বলেন, “অনেকেই ওই কিশোরকে নিজের সন্তান দাবি করে হাসপাতালে দেখতে আসেন। তবে শেষ পর্যন্ত চিনতে না পারায় সবাই ফিরে যান।
গত ৩ মে ও ৭ মে ওই কিশোরের সিটি স্ক্যান করানো হয় জানিয়ে আইসিইউ প্রধান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ওই কিশোর মাথায় বড় ধরনের আঘাত ছিল। মাথায় এত বড় আঘাতে মানুষের বাঁচার সম্ভাবনা খুব কম থাকে। লাইফ সাপোর্ট লাগানো হয়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এবং শিশু আইসিইউয়ের নিজস্ব তহবিল থেকে চিকিৎসার সর্বোচ্চ ব্যবস্থা করা হয়।
“তবে শেষ পর্যন্ত কিশোরটিকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি।”
রাজশাহী নগরের রাজপাড়া থানার ওসি সিদ্দিকুর রহমান জানান, গত ২ মে সকাল ১০টার দিকে অচেতন অবস্থায় পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার মুলাডুলি রেললাইনের পাশ থেকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ। পরে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিউরো সার্জারি ওয়ার্ডে নেওয়া হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাকে আইসিইউতে ভর্তি করা হয়।
ওই কিশোরের পরিচয় জানার জন্য সব ধরনের আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হলেও শনাক্ত করা যায়নি।
ওসি আরও জানান, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তির সময় ওই কিশোরের পরনে ছিল বাদামি রঙের প্যান্ট। শরীরের ওপরের অংশে কোনো পোশাক ছিল না। লাশ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।