শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার মান বৃদ্ধি এবং দক্ষ নাগরিক তৈরিতে কোনো প্রকার ছাড় না দিয়ে নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালনে সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
Published : 26 Jan 2024, 07:29 PM
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে দিনাজপুরের-২ আসনে পুনর্নির্বাচিত হওয়ায় শুক্রবার দিনাজপুরের বিরল উপজেলার মুক্তিযোদ্ধা সংসদের আয়োজনে খালিদ মাহমুদ চৌধুরীকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে ভব্যিষত প্রজন্মকে স্মার্ট, দক্ষ করে গড়ে তোলার চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার কথা বলেছেন নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। সেজন্য তিনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার মান বৃদ্ধি এবং দক্ষ নাগরিক তৈরিতে কোনো প্রকার ছাড় না দিয়ে নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালনে সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
শুক্রবার দিনাজপুরের বিরল উপজেলার মুক্তিযোদ্ধা সংসদের আয়োজনে এক সংবর্ধনা সভায় বক্তব্য রাখছিলেন খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে দিনাজপুরের-২ আসনে পুনর্নির্বাচিত হওয়ায় তাকে এই সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
পরপর চারবার সংসদ সদস্য নির্বাচতি করায় দিনাজপুর-২ নির্বাচনী এলাকার ভোটারসহ সর্বস্তরের মানুষের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
তিনি বলেন, “আপনাদের ভালোবাসা আমার চলার পথে পাথেয়। আপনারা পরপর চারবার নির্বাচিত করায় কতৃজ্ঞতার কোনো শেষ নেই। আপনাদের এই ভালোবাসার কাছে আমি চিরঋণী। আমার মহান নেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার কাছে ঋলী, যিনি ২০০৮ সালে প্রথম নৌকা মার্কায় দিয়ে আাপনাদের কাছে পাঠিয়েছিলেন।”
প্রতিমন্ত্রী বলেন, “আমাদের আরো অনেক পথ চলতে হবে। জাতির পিতা স্বপ্ন দেখেছিলেন সোনার বাংলা। আজকে তারই কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলার সোনার বাংলা হচ্ছে। বাংলার মানুষ আজকে স্বাধীনতার সুখ অনুভূত হচ্ছে।
“আমরা এখানেই থেমে থাকতে চাই না। আমাদের প্রজন্মের পর প্রজন্ম আমরা আরো উপরে তুলে নিতে চাই। প্রধানমন্ত্রী ২০৪১ সালের প্রেক্ষিত পরিকল্পনা দিয়েছেন স্মার্ট ও উন্নত বাংলাদেশ। এই লক্ষ্য অর্জনের জন্য গত ১৫ বছরে ধাপে ধাপে যে পদক্ষেপগুলো নেওয়া দরকার সেগুলো নিয়েছেন এবং বাংলাদেশকে একটি উন্নয়নশীল দেশে দৃশ্যমান করেছেন।”
তিনি বলেন, "আওয়ামী লীগ তার নির্বাচনী ইশতেহারে বলেছে, উন্নয়ন দৃশ্যমান, বাড়বে এবার কর্মসংস্থান। আমি নির্বাচনী প্রচারের সময়ে আমার ছাত্র, যুবক, তরুণদের আহ্বান জানিয়েছি, আগামী সময়গুলো হচ্ছে তোমাদের সময়।"
বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে যারা শুভেচ্ছা জানাতে অনুষ্ঠানে এসেছেন, তাদের উদ্দেশ্যে লিদ মাহমুদ বলেন, "আমাকে শুভেচ্ছা জানানো তখনই সার্থক হবে, যখন এসব প্রতিষ্ঠান থেকে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার নাগরিক তৈরি হবে।"
স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে যার যার জায়গা থেকে নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করা আহ্বান জানিয়ে খালিদ মাহমুদ বলেন, "এই বাংলাদেশ কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর নয়, ১৬ কোটি মানুষের বাংলাদেশ। এই বাংলাদেশের প্রত্যেকটি মানুষের অধিকার আছে, প্রত্যেকটি মানুষের করণীয় আছে। আমরা যে যে জায়গায় কাজ করছি, আমরা যেন সেই জায়গাগুলোতে অত্যন্ত আন্তরিকতার সাথে, নিষ্ঠার সঙ্গে যেন কাজ করি।”
তিনি বলেন, "আগামীতে কর্মসংস্থানের যে ইশতেহার ঘোষণা করা হয়েছে, সেই কর্মসংস্থান তৈরি হবে আমাদের এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে। আমাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার মান বৃদ্ধি করতে হবে এবং দক্ষ নাগরিক তৈরি করতে হবে। এই জায়গায় আমাদের কোনো প্রকার ছাড় দেয় যাবে না।"
খালিদ মাহমুদ বলেন, "বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে ৩০ লক্ষ শহীদ রক্ত দিয়েছে। তারা আমাদের রক্ত দিয়ে স্বাধীনতা দিয়েছ। জাতির পিতা দ্বিতীয় বিপ্লবের ডাক দিয়েছিলেন। শেখ হাসিনা সেই বিপ্লবের হাল ধরে আমাদের মুক্তি দিয়েছেন। সেই মুক্তি সেই জায়গায় নিয়ে যেতে হবে স্মার্ট ও উন্নত বাংলাদেশ গড়ার মধ্য দিয়ে।"
প্রতিমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানাতে ফুলের তোড়া নিয়ে অনুষ্ঠানে আসেন বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধিরা। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ফুল দেন নির্বাহী কর্মকর্তা। জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে ফুল দিয়েও শুভেচ্ছা জানানো হয়।
বিরল উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সবুজার সিদ্দিকি সাগর, সাধারণ সম্পাদক রমা কান্ত রায়, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক দেবাশীষ চৌধুরী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জিন্নাহ আল মামুন, থানার ওসি গোলাম মাওলা, বিরল উপজেলা মুক্তিযুদ্ধ কমান্ডার আবুল কাশেম অরু, ডেপুটি কমান্ডার রহমান আলীসহ সামাজিক সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সংগঠনের নেতারা ফুল দিয়ে বরণ করে নেন খালিদ মাহমুদ চৌধুরীকে।