বগুড়ায় বাড়ি সংস্কারের সময় বোমা বিস্ফোরণ, শ্রমিক আহত

চালের টিন খোলার সময় সিলিংয়ে দুটি বোমাসদৃশ্য বস্তু দেখতে পান বাছেদ; সেগুলো নাড়াচাড়ার সময় একটির বিস্ফোরণ হয়।

বগুড়া শহরে একটি পুরনো বাড়ি সংস্কারের সময় হাতবোমার বিস্ফোরণে এক শ্রমিক আহত হয়েছেন। ঘটনাস্থলে পাওয়া আরেকটি বোমা নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে।

শুক্রবার সকালে শহরের সূত্রাপুর এলাকায় পৌর উচ্চ বিদ্যালয় এলাকায় এ বোমার বিস্ফোরণ ঘটে।

আহত শ্রমিক আব্দুল বাছেদকে স্থানীয় হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

আব্দুল বাছেদ শাজাহানপুরের আতাইলের বাসিন্দা।

বাড়িটির মালিক সেউজগাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক সেলিনা আক্তার শিউলি। সেলিনার বাবা দুলাল হোসেন ২০১৫ সালে মারা যান।

স্থানীয় লোকজন জানান, সেলিনা আক্তার তার মাকে নিয়ে ওই বাড়িতে বসবাস করছিলেন। সম্প্রতি বাড়িটি সংস্কারের উদ্যোগ নেন তিনি। এ জন্য শুক্রবার সকালে শ্রমিকরা কাজ করছিলেন সেখানে।

স্থানীয়দের বরাতে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার স্নিগ্ধ আখতার বলেন, সোয়া ৯টার দিকে বাড়ির চালের টিন খোলার সময় সিলিংয়ে দুটি বোমা সদৃশ্য বস্তু দেখতে পান বাছেদ। সেগুলো নাড়াচাড়া করার সময় একটি বিস্ফোরণ হলে বাছেদের হাত ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

তাকে উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।

ঘটনার পর বাড়ির মালিক সেলিনা আক্তারকে পাওয়া যায়নি।

আরিফ নামে এক প্রতিবেশী বলেন, “আমি ঘুমিয়ে ছিলাম। বিকট শব্দে ঘুম ভেঙে যায়। বের হয়ে দেখি সেলিনা আপাদের বাড়িতে বিস্ফোরণ হয়েছে। আর আহত শ্রমিককে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাচ্ছে কয়েকজন।”

স্নিগ্ধ আখতার বলেন, ওই বাড়ির সিলিংয়ে দুটি বোমা মিলে। তার মধ্যে একটি সকালেই বিস্ফোরণ ঘটে। ঘটনার পরপরই নিরাপত্তার জন্য ওই বাড়ির থেকে সবাইকে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হয়। তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশ বাড়িটি ঘিরে রাখে। পরে ঢাকায় বম্ব ডিসপোজাল ইউনিটকে খবর দেওয়া হয়। তারা বিকালে এসে অপরটি নিষ্ক্রিয় করে।

“বম্ব ডিসপোজাল ইউনিটের সঙ্গে কথা হয়েছে। তারা জানিয়েছে, ওই দুটি শক্তিশালী হাতবোমা ছিল। বাড়িতে বোমা তৈরির কোনো কিছু পায়নি তারা।”

ওই বাড়িতে বোমা কীভাবে এল তা পুলিশ তদন্ত করবে বলে তিনি জানান।