সেতুটি জরাজীর্ণ হওয়ায় এর পাশেই একটি নতুন ব্রিজের নির্মাণ শুরু হলেও দীর্ঘদিন ধরেই তার কাজ বন্ধ রয়েছে।
Published : 18 Apr 2024, 02:52 PM
মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলার ইছামতী নদীর ওপরে নির্মিত একটি বেইলি সেতুর পাটাতন দেবে যাওয়ায় দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন চলাচলকারী যাত্রী ও চালকরা।
হরিরামপুর-ঝিটকা-মানিকগঞ্জ আঞ্চলিক সড়কের হরিরামপুর উপজেলার লেছড়াগঞ্জ বাজার সংলগ্ন সেতুটিতে যানবাহন উঠলেই পাটাতন এক পাশে কাত হয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
বৃহস্পতিবার সরেজমিনে দেখা গেছে, বেইলি ব্রিজটির মাঝে স্টিলের তিনটি পাটাতন নড়বড়ে হয়ে পড়েছে। যার দুইটি বেশি ঝুঁকিপূর্ণ। সেতুর উপর দিয়ে যান চলাচলের সময় বিকট শব্দ হচ্ছে। একপাশে পাটাতন ৩-৪ ইঞ্চি নীচু হয়ে যাচ্ছে।
সহজে উপজেলা থেকে জেলা শহরে যাতায়াতে ২৫-৩০ বছর আগে ইছামতী নদীর উপর সেতুটি নির্মিত হয়েছিল। প্রতিদিন ইজিবাইক, নসিমন, করিমনসহ বিভিন্ন বাহনে হাজার হাজার মানুষ সেতুতে চলাচল করেন। এছাড়া ট্রাক, পিকআপ, মাহিন্দ্র, কাঁকড়া গাড়িসহ বালু-ইট-সিমেন্টসহ নিত্যপণ্যবাহী ভারী যানবাহনও সেতু দিয়ে নদী পার হয়।
লেছড়াগঞ্জ বাজার সংগীতা ফার্মেসির মালিক সুশান্ত হালদার বলেন, “তিনটি পাটাতনের অবস্থা খুবই বাজে। সম্প্রতি এক মোটরসাইকেল চালক পরে আহত হয়েছেন।
“সিমেন্ট বা ইট বোঝাই ট্রাক বা ভারী যানবাহন উঠলে দুই পাশে যানজট লেগে যায়। তাই ব্রিজটি দ্রুত মেরামত করার দাবি জানাই।”
পরিবেশ সংগঠন হরিরামপুর শ্যামল নিসর্গ’র সভাপতি ও স্কুল শিক্ষক মো. ওয়াহিদুর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “নিয়মিত এই সেতু দিয়ে চলাচল করি। ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় সামান্য ইজিবাইকে উঠলেও সেতুর পাটাতন অনেক বেশি কাত হয়ে যায়।”
ইজিবাইক চালক মনির মিয়া বলেন, “ইজিবাইক তুলনামূলক কম ওজনের হলেও ক্ষতিগ্রস্ত পাটাতনে উঠলেই একপাশে অনেক কাত হয়ে যায়। এতে অনেক সময় যাত্রীরা ভয় পান।”
স্থানীয়রা জানায়, ৫-৬ মাস আগেও একবার একটি পাটাতন মেরামত করেছিল সড়ক ও জনপথ কর্তৃপক্ষ। এর কয়েক মাস পরই সেতুর কয়েকটি পাটাতন নড়বড়ে হয়ে গেছে। সেতুটি জরাজীর্ণ হওয়ায় এর পাশেই একটি নতুন ব্রিজের নির্মাণ শুরু হলেও দীর্ঘদিন ধরেই তার কাজ বন্ধ রয়েছে।
মানিকগঞ্জ সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. ফারুক হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বিষয়টি আপনার মাধ্যমে জানলাম। সেতুটির পাটাতন মেরামতে দ্রুত আমাদের স্টাফ যাবেন। আর তারা পরিদর্শন করে সঙ্গে সঙ্গে মেরামতে যা যা দরকার করবে।”