সদর উপজেলার কচাবুনিয়া ভোটকেন্দ্রে ভোট শেষ হওয়ার ১৫ মিনিট আগে এ ঘটনা ঘটে।
Published : 07 Jan 2024, 06:06 PM
ভোট শেষ হওয়ার আগে পটুয়াখালী-১ (সদর-মির্জাগঞ্জ-দুমকি) আসনে লাঙ্গল সমর্থকদের উপর হামলার অভিযোগ উঠেছে নৌকার সমর্থকদের বিরুদ্ধে।
রোববার বিকাল পৌনে ৪টার দিকে সদর উপজেলার ইটবাড়িয়া ইউনিয়নের কচাবুনিয়া ভোট কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে জানান লাঙ্গলের প্রার্থী এবিএম রুহুর আমীন হাওলাদার।
হামলায় রুহুল আমিন হাওলাদারের সহকারী একান্ত সচিব-এপিএস সোহেলসহ মো. লিটন মিয়া, মো. রাজা, মো. হানিফ হোসেন বাবু, মো. সেলিম ও মো. নোমান মিয়া আহত হয়েছেন।
সোহেলকে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সদর থানার ওসি মো. জসিম বলেন, খবর পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে মোবাইল টিম নিয়ে আমি ঘটনাস্থলে আসি। র্যাব, বিজিবি ও সেনা সদস্যরাও ঘটনাস্থলে যাওয়ার পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
আহত সোহেল সাংবাদিকদের বলেন, তাদের প্রার্থী রুহুল আমিন হাওলাদার গাড়ি নিয়ে ভোট কেন্দ্রের দিকে যাচ্ছিলেন। এ সময় হঠাৎ কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আফজাল হোসেনের ভাই জেলা আওয়ামী লীগ সদস্য কামাল হোসেনের নেতৃত্বে অতর্কিতভাবে গাড়ির ওপর হামলা করতে তেড়ে আসেন।
“এ সময় আমিসহ আমার কর্মীরা গাড়ি থেকে নেমে সামনে এগিয়ে গেলে আমাদের উপর হামলা চালায়। পরে লাঙ্গল মার্কার নির্বাচনী বুথে হামলা চালিয়ে চেয়ার-টেবিল ভাংচুর করে।”
ঘটনার পর এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার তাৎক্ষণিত প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, “দিনভর সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ভোট প্রায় শেষ। আমি আসছি এখানে ভোট কেন্দ্র ঘুরে দেখতে। হঠাৎ করেই কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আফজালের ভাই কামাল আমার কর্মীদের উপর অতর্কিতে হামলা চালিয়ে গোটা নির্বাচনের পরিবেশকে কলুষিত করেছে।”
তিনি এ ঘটনার তদন্ত করে সুষ্ঠু বিচারসহ আফজালেরও বিচার দাবি করেন।
তবে হামলার অভিযোগ এড়িয়ে গিয়ে কামাল হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, “দুইপক্ষের শ্লোগান দেওয়াকে কেন্দ্র করে ঝামেলা হয়েছে।”
এ বিষয়ে আফজাল হোসেন বলেন, “হামলা নয়। ওই প্রার্থী ভোটকেন্দ্রে গেলে উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।”