নির্দিষ্ট স্থানে না ফেলে রাজবাড়ী সদর হাসপাতালের বর্জ্য ফেলা হচ্ছে উন্মুক্ত স্থানে। রোগীদের খাবারের উচ্ছিষ্টসহ বিপজ্জনক চিকিৎসা বর্জ্য এভাবে ফেলে রাখায় ভোগান্তি ও স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়ছেন রোগী ও তাদের স্বজনেরা।
সরেজমিনে রোববার সকালে দেখা যায়, হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ত্রিশ গজ দূরে একটি নির্দিষ্ট স্থানে ময়লা-আবর্জনা ফেলার নিয়ম থাকলেও সেখানে ফেলা হচ্ছে না। বরং হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্স গ্যারেজের সামনের উন্মুক্ত স্থানে ফেলে রাখা হয়েছে বর্জ্য। অথচ এই গ্যারেজ থেকে পাঁচ ফুট দূরেই রয়েছে ডাস্টবিন।
এসব বর্জে্যর মধ্যে হাসপাতালের প্রাত্যহিক ময়লা-আবর্জনার পাশাপাশি রক্তের গজ, ইনজেকশনের সিরিঞ্জ, হ্যান্ড গ্ল্যাভস ও মাস্কসহ নানা ধরণের মারাত্মক ক্ষতিকর বর্জ্যও আছে। যদিও এসব সংক্রমণ ঝুকিপূর্ণ বর্জ্য ঢাকনা বন্ধ কন্টেইনারে রেখে নিষ্কাশন করার নিয়ম।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হাসপাতালের এক অ্যাম্বুলেন্স চালক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ডাস্টবিন থাকলেও প্রতিনিয়ত গ্যারেজের সামনে ময়লা ফেলা হয়। দুর্গন্ধে গাড়ি ধোয়া মোছা করতে ভোগান্তিতে পড়তে হয়। বারবার বলার পরও এখানে ময়লা ফেলে যায়।
হাসপাতালে ভর্তি এক রোগির স্বজন সবুজ বলেন, “যত্রতত্র ময়লা আর্বজনা ফেলার কারণে পরিবেশ দূষণ হচ্ছে। দুর্গন্ধ বাতাসে ছড়িয়ে পড়ছে। এতে রোগ ব্যাধি ভালো হবে কি, বরং আরও বাড়বে। ”
হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা শাহিদ ব্যাপারি বলেন, “অনেক দিন ধরেই ডাস্টবিনে ময়লা না ফেলে ডাস্টবিনের বাইরে ময়লা ফেলা হচ্ছে। বাতাসে যখন দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়ে তখন শিশু ওয়ার্ডের আশপাশে থাকা যায় না। যত্রতত্র ময়লা ফেলার কারণে মশা মাছি বেড়ে যাচ্ছে। ”
হাসপাতালে আসা কামাল হোসেন বলেন, “এমনভাবে খোলা জায়গায় ময়লা ফেলে রাখছে, অ্যাম্বুলেন্স গ্যারেজের এখানে আসার উপায় নেই। এসব বর্জ্যের কারণে এই হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা আরও জটিল রোগে আক্রান্ত হতে পারে।”
সঠিকভাবে বর্জ্য ডাম্পিং করার জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের নজর দেওয়া উচিত বলে মনে করেন তিনি।
এ বিষয়ে রাজবাড়ী সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক শেখ মোহাম্মদ আব্দুল হান্নান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, “আমাদের যারা সুইপার আছে তারা এ কাজগুলো করছে। বারবার বলার পরেও তারা এলোমেলো করছে।”
তিনি আরও বলেন, “আমাদের সরকারিভাবে সুইপার নেই। যে কারণে বাইরে থেকে ধার করে আনা সুইপারদের দিয়ে কাজ চালাতে হচ্ছে। তাই তাদের কিছু বলাও যাচ্ছে না। এরপরও বিষয়টি দেখছি কি করা যায়।”