পেকুয়ায় সাঈদীর গায়েবানা জানাজা শেষে পুলিশের ওপর হামলা

আহতদের মধ্যে এসআই শাহিনুল ইসলামের হাত ও অমর চন্দ্র বিশ্বাসের পায়ের আঘাত গুরুতর বলে জানান ওসি।

কক্সবাজার প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 15 August 2023, 02:24 PM
Updated : 15 August 2023, 02:24 PM

কক্সবাজারের পেকুয়ায় একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর গায়েবানা জানাজা শেষে পুলিশের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। 

মঙ্গলবার বিকেল ৩টার দিকে পেকুয়া উপজেলার বারবাকিয়া বাজারে জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীদের চালানো এ হামলায় ওসিসহ ১৫ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন বলে জানান পেকুয়া থানার ওসি মোহাম্মদ ওমর হায়দার।

আহতরা হলেন- পেকুয়া থানার ওসি মোহাম্মদ ওমর হায়দার, পরিদর্শক (তদন্ত) সুদীপ্ত শেখর ভট্টাচার্য, এসআই মোহাম্মদ শাহিনুল ইসলাম, অমর চন্দ্র বিশ্বাস, মফিজুল ইসলাম, এএসআই  মো. জসিম উদ্দিন এবং কনস্টেবল আরিফুল ইসলাম ভূঁইয়া, প্রদীপ কুমার দে, মো. সবুর মিয়া, রবি উল্লাহ, ইমরান হোসেন, রামকৃষ্ণ দাশ, তৌহিদুল ইসলাম, রিপন মিয়া এবং রিয়াজুল ইসলাম। 

আহতদের মধ্যে এসআই শাহিনুল ইসলামের হাত ও অমর চন্দ্র বিশ্বাসের পায়ের আঘাত গুরুতর বলে জানান ওসি।

তিনি বলেন, “বিকালে পেকুয়া উপজেলা সদরের একটি মাঠে জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা দেলাওয়ার হোসেন সাঈদীর গায়েবানা জানাজার প্রস্তুতি নিচ্ছিল। কিন্তু প্রশাসনের অনুমতি না থাকায় পুলিশ তাদের নিষেধ করে। পরে জানাজায় অংশ নিতে আসা লোকজন সেখান থেকে সরে বারবাকিয়া বাজারে অবস্থান নেয়।

“এক পর্যায়ে জামায়াত নেতা ও স্থানীয় বারবাকিয়া ইউপি চেয়ারম্যান বদিউল আলম জিহাদির নেতৃত্বে সমবেত লোকজন বারবাকিয়া বাজারেই সাঈদীর গায়েবানা জানাজা পড়তে শুরু করে। “

আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করতে পুলিশের একটি দল আগে থেকেই বাজারে অবস্থান করছিল জানিয়ে ওসি বলেন, “জানাজা শেষে অংশগ্রহণকারী লোকজন উত্তেজনাপূর্ণ শ্লোগান দিতে শুরু করে। এসময় পুলিশ তাদের সেখান থেকে চলে যেতে বললে এক পর্যায়ে জামায়াত-শিবির নেতাকর্মিরা হঠাৎ করেই পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে। “ 

এই খবর পেয়ে আরও কয়েকজন পুলিশ সদস্য নিয়ে বাজারে যান বলে জানান ওসি। 

এসময় জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা চতুর্দিক থেকে হামলা চালাতে থাকে উল্লেখ করে তিনি বলেন, “আত্মরক্ষায় পুলিশ ফাঁকা গুলি ছুঁড়লে বিক্ষোভকারিরা ছত্রভঙ্গ হয়ে পড়ে। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। “ 

ওসি জানান, হামলার ঘটনায় তিনিসহ পুলিশের ১৫ সদস্য আহত হয়েছে। 

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসার পর আহত পুলিশ সদস্যদের পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখানেই তাদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। 

এ ঘটনায় জড়িতদের শনাক্ত করে মামলা করা হবে বলেও জানান ওসি মোহাম্মদ ওমর হায়দার।