কারাগারে থেকেও গাড়ি পোড়ানো মামলার আসামি যুবদল নেতা

মাটিরাঙা থানার ওসি বলেন, “প্রত্যক্ষদর্শীদের দেওয়া তথ্য অনুসারে তার নাম এসেছে।”

কারাগারে অন্তরীণ অবস্থায় গাড়ি পোড়ানোর মামলায় আসামি হয়েছেন খাগড়াছড়ির পানছড়ির এক যুবদল নেতা।

গত ৫ নভেম্বর বিকালে খাগড়াছড়ি জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য ওয়াদুদ ভূঁইয়ার বাসায় অভিযান চালায় পুলিশ। এ সময় জেলা যুবদলের সভাপতি মাহবুব আলম সবুজ ও যুবদল নেতা জহির খান আরিফসহ বিএনপি ও যুবদলের পাঁচ নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর থেকে আরিফ জেলেই আছেন।

আরিফের কারাগারের বন্দি থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন খাগড়াছড়ি জেলা কারাগারের কারাধ্যক্ষ মো. আক্তার হোসেন শেখ।

তিনি শনিবার রাতে এই প্রতিবেদককে বলেন, “গ্রেপ্তারের পর থেকে জহির খান আরিফ জেলেই আছেন।”

গত বুধবার বিএনপির অবরোধ চলাকালে মাটিরাঙার সাপমারা এলাকায় কুরিয়ার সার্ভিসের কর্ভাড ভ্যানে আগুন দেওয়ার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় জহির খান আরিফকে আসামি করা হয়।

মাটিরাঙা থানার এসআই মাসুদ আলম পাটওয়ারী বাদী হয়ে মামলাটি করেন।

খাগড়াছড়ি জেলা বিএনপির সভাপতি ওয়াদুদ ভূঁইয়াকে প্রধান করে ৮৩ জনের নামে মামলাটি হয়। ওই মামলায় আরিফকে ৫৭ নম্বর আসামি করা হয়েছে।

কারাগারে থাকা ব্যক্তি কীভাবে মামলার আসামি হলেন, এমন প্রশ্নে মাটিরাঙা থানার ওসি মো. জাকারিয়ার বলেন, “প্রত্যক্ষদর্শীদের দেওয়া তথ্য অনুসারে মামলায় আরিফের নাম এসেছে। মামলাটি বর্তমানে তদন্তাধীন আছে। সে যদি জেলে থাকে তাহলে তার নাম অবশ্যই বাদ যাবে।”