রায়ে এ মামলার আরেক আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
Published : 15 Feb 2024, 03:17 PM
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলায় এক যুগ আগে এক দিনমজুরকে হত্যার দায়ে একজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত।
বৃহস্পতিবার দুপুরে কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ পঞ্চম আদালতের বিচারক ফরিদা ইয়াসমিন এ রায় ঘোষণা করেন বলে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (অতিরিক্ত পিপি) অ্যাডভোকেট মো. রফিকুল ইসলাম জানান।
মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত মো. লিটন মিয়া (২৬) সুনামগঞ্জের দক্ষিণ সুনামগঞ্জ থানার শান্তিনগর এলাকার (নদরী পূর্ব পাড়) শ্যাম আজিজুর রহমানের ছেলে। সাজার পাশাপাশি তাকে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডও দিয়েছেন বিচারক।
এদিন এ মামলার আরেক আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে রায়ে। তিনি হলেন-কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার ঘোলপাশা গ্রামের হেলাল মিয়ার ছেলে আবসুদ সোবহান ওরফে তুফান (৫০)। তাকে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছেন বিচারক; অনাদায়ে আরও ছয়মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে তাকে।
রফিকুল বলেন, রায় ঘোষণার সময় তুফান আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত থাকলেও লিটন ছিলেন না।তিনি পলাতক রয়েছেন।
মামলার বরাতে রাষ্ট্রপক্ষের এ আইনজীবী বলেন, আসামিদের সঙ্গে চৌদ্দগ্রাম গ্রামের আমানগণ্ডা এলাকার দিনমজুর জাহাঙ্গীর হোসেনের বিরোধ ছিল। এর জেরে ২০১২ সালের ৩১ জুলাই পূর্বপরিকল্পিতভাবে জাহাঙ্গীরকে একই এলাকায় একটি মৎস প্রকল্পের টিনসেড ঘরে নিয়ে কোদাল ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করে আসামিরা পালিয়ে যায়।
এ ঘটনায় ১ অগাস্ট নিহতের শ্যালক একই গ্রামের জুলকু মিয়ার ছেলে মো. ফুল মিয়া বাদী হয়ে চৌদ্দগ্রাম থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
তদন্ত শেষে চৌদ্দগ্রাম থানার এসআই সুলতান উদ্দিন ওই বছরের ৯ অগাস্ট লিটনকে সিলেট থেকে গ্রেপ্তার করে। পরে তিনি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। ২০১৩ সালের ২৩ জানুয়ারি তদন্ত কর্মকর্তা আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
রফিকুল বলেন, “আমরা আশাবাদী, দ্রুত সময়ের মধ্যে এ রায় কার্যকর হবে।”