নাটোরে ইউএনওর গাড়ি চালককে কুড়াল হাতে ধাওয়া ‘যুবলীগ নেতার’

ভিডিওতে দেখা যায়, রুবেল হোসেনকে চাইনিজ কুড়াল ও রামদা নিয়ে ধাওয়া করছে কয়েকজন যুবক।

ধারালো অস্ত্র হাতে উপজেলা পরিষদের ভেতর ঢুকে পড়েন এক দুর্বৃত্ত।

নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলা পরিষদ ভবনে ঢুকে ইউএনওর গাড়িচালককে ধারালো অস্ত্র নিয়ে ধাওয়া করেছে এক ‘যুবলীগ নেতা’ ও তার সহযোগীরা।

মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে এই ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন ইউএনও রোজিনা আক্তার। এ ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

ইউএনওর ওই চালকের নাম মো. রুবেল হোসেন (২৭)। তিনি নাটোর সদর উপজেলার ফুলবাগান এলাকার বাসিন্দা।

কুড়াল হাতে ভিডিওতে দেখা যাওয়া আহসান হাবীব (২৮) উপজেলার পূর্ব মাধনগর গ্রামের বাসিন্দা। নিজের ফেইসবুকে তিনি নলডাঙ্গা উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে পরিচয় দিয়েছেন।

তবে পৌর মেয়র ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনির বলেন, কেন্দ্র থেকে উপজেলা যুবলীগের একটি উপ-কমিটির গঠন করা হয়েছিল; সে কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক আহসান হাবীব। 

ইউএনও’র অফিসে ঢুকে ধাওয়া দেওয়ার এ ঘটনার একটি ভিডিও বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের দেখার সুযোগ হয়েছে।

সেখানে দেখা যায়, রুবেল হোসেনকে চাইনিজ কুড়াল ও রামদা নিয়ে ধাওয়া করছে একদল যুবক।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় কয়েকজন জানিয়েছেন, হাবিব নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে চালক রুবেলের ভাই খোকনের অর্থ লেনদেন নিয়ে বিরোধ ছিল। সকালে হাবিব ও তার সহযোগীর সঙ্গে রুবেলের এ বিষয়ে বাক-বিতণ্ডা হয়। এ সময় তারা মোটরসাইকেলে রুবেলকে উঠিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। রুবেল পালাতে চাইলে তাকে চাইনিজ কুড়াল ও রামদা নিয়ে ধাওয়া করা হয়।

এক পর্যায়ে রুবেল উপজেলা পরিষদ ভবনের ভেতরে ঢুকে পড়লে, হাবিব ও তার সগযোগীরাও ধারালো অস্ত্র হাতে উপজেলা পরিষদে প্রবেশ করে। এ সময় রুবেল ইউএনওর কক্ষে ঢুকে পড়লে তারা পরিষদ প্রাঙ্গণ ত্যাগ করে।

এ বিষয়ে নলডাঙ্গার ইউএনও রোজিনা আক্তার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এটি একটি অপ্রত্যাশিত, অনভিপ্রেত এবং নিন্দনীয় ঘটনা। বিষয়টি জেলা প্রশাসকসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।“

নলডাঙ্গা থানার ওসি আবুল কালাম আজাদ জানিয়েছেন, এ ঘটনায় রুবেল হোসেন থানায় মামলা করেছেন। এতে হাবিব ও আলাল নামের দুইজনকে আসামি করা হয়েছে। এখনও কোনো আসামিকে গ্রেপ্তার করা যায়নি; তবে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।