বিএনপির সমাবেশ: শরীয়তপুর থেকেও ফরিদপুরের বাস বন্ধ

পথে সমস্যা হতে পারে বিবেচনায় রেখে বুধবার রাত থেকে সমাবেশস্থলে যেতে শুরু করেন নেতা-কর্মীরা।

কে এম রায়হান কবীরশরীয়তপুর প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 11 Nov 2022, 04:54 PM
Updated : 11 Nov 2022, 04:54 PM

ফরিদপুরে বিএনপির সমাবেশের একদিন আগে থেকে শরীয়তপুরের সঙ্গে বাস চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।

ফলে সমাবেশমুখী নেতা-কর্মীরা অটোরিকশায় ফরিদপুরের ভাঙ্গায় এসে সেখান থেকে সমাবেশস্থলে যাচ্ছেন।

শনিবার ফরিদপুর শহরের উপকণ্ঠে কোমরপুরে আব্দুল আজিজ ইন্সটিটিউট মাঠে বিএনপির ফরিদপুর সাংগঠনিক বিভাগীয় সমাবেশ হবে। সমাবেশে যেতে সমস্যা হতে পারে শঙ্কায় বুধবার রাত থেকেই এখানে আসতে শুরু করেন নেতা-কর্মীরা। 

শুক্রবার সকাল থেকে শরীয়তপুরের বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। ইতোমধ্যে মাদারীপুর, গোপালগঞ্জ ও রাজবাড়ীর সঙ্গে ফরিদপুরের বাস চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।

বিএনপির অভিযোগ, সমাবেশে লোকসমাগম ঠেকাতে পুলিশ নেতা-কর্মীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভয়ভতি দেখাচ্ছে। পাশাপাশি যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

বাস চলাচল বন্ধের জন্য পরিবহন মালিক সমিতি ও শ্রমিক ইউনিয়নের পক্ষ থেকে নির্দিষ্ট কারণ জানানো হয়নি।

শরীয়তপুর আন্তঃজেলা সড়ক পরিবহন বাস-মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আলি মাদবর বলেন, “বাস বন্ধের কোনো নির্দেশনা আমাদের পক্ষ থেকে দেওয়া হয়নি। তবে বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। এর বেশি কিছু বলতে পারব না।”

এদিকে, বাস চলাচল বন্ধ থাকায় যাত্রীরা চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। জরুরি প্রয়োজনে যারা ফরিদপুর যাবেন, তারা ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা, ভ্যান ও ভটভটিতে করে ভেঙে ভেঙে অনেকে গন্তব্যে যাচ্ছেন।

কয়েকজন ছাত্রদলের নেতা অভিযোগ করেন, সমাবেশে লোকসমাগম ঠেকাতে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এতে সাধারণ মানুষও চরম দুর্ভোগের মধ্যে পড়েছেন। এসব করে সমাবেশ ঠেকানো যাবে না। যেভাবেই হোক, সমাবেশে নেতা-কর্মীরা পৌঁছাবেন।

যাওয়ার পথে কোথাও বাধার দেওয়া হলে, সেখানেই প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানান তারা।

জামাল হোসেন মুন্সি নামের এক ব্যক্তি একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। তিনি শুক্রবার সকালে কর্মস্থল ফরিদপুর যাবেন।

তিনি বলেন, “কাউন্টারে এসে দেখি সব কাউন্টার বন্ধ। পরে জানতে পারি ফরিদপুর বিএনপির সমাবেশের জন্য বাস বন্ধ।”

জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি আবুল হোসেন সরদার বলেন, সমাবেশে নেতাকর্মীরা যাবেন, “তাই শরীয়তপুর থেকে ফরিদপুরের সব পরিবহন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আমরা জানি তারা সব পরিবহন বন্ধ করে দেবে। তাই ৯ তারিখ থেকেই মাইক্রোবাসসহ বিভিন্নভাবে আমরা সভাস্থালে পৌঁছেছি। অন্য নেতা-কর্মী বিভিন্নভাবে চলে যাচ্ছে। তারা যত চেষ্টাই করুক না কেন, সমাবেশে জনতার ঢল নামবেই।”

শরীয়তপুর জেলা বিএনপির সভাপতি শফিকুর রহমান কিরন বলেন, “বাধার কারণে আমরা ৯ তারিখে ফরিদপুর এসেছি। গতকাল বিকাল থেকেই শরীয়তপুর টু ফরিদপুর বাস বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

নড়িয়াসহ বিভিন্ন স্থানে নেতা-কর্মীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে পুলিশ দলের কর্মীদের ভয়ভীতি দেখাচ্ছে এবং বাধা দিচ্ছে। এসব করে সমাবেশের জনস্রোত কেউ আটকাতে পারবে না।

তবে পুলিশের বিরুদ্ধে করা অভিযোগ নড়িয়া থানার ওসি হাফিজুর রহমান অস্বীকার করেছেন।

আরও পড়ুন:

ফরিদপুরে বিএনপির সমাবেশস্থলেই চলছে থাকা-খাওয়া   

বিএনপির সমাবেশের আগে রাজবাড়ীতে বাস ধর্মঘটে ভোগান্তি 
গোপালগঞ্জ থেকে ফরিদপুর ও দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া রুটের বাস বন্ধ

ফরিদপুরে বিএনপির সমাবেশের আগে বাস ধর্মঘট, ভোগান্তি

ফরিদপুরে বিএনপির সমাবেশে তিন দিন আগে সমাগম শুরু

রাজবাড়িতে তিন চাকা বন্ধের দাবিতে বাস ধর্মঘট: ভরসা সেই অটোরিকশাই

বিএনপির সমাবেশ: মাদারীপুর-ফরিদপুর বাস বন্ধ