ফরিদপুরে বিএনপির গণসমাবেশ হবে শনিবার। কিন্তু তিনদিন আগে থেকেই কর্মী-সমর্থক-নেতারা আসতে শুরু করেছেন সমাবেশস্থলে। সেখানেই তারা রাত কাটানোর পাশাপাশি খাওয়া-দাওয়া-গোসলও সারছেন।
বিএনপির ফরিদপুর সাংগঠনিক বিভাগীয় এই সমাবেশ হবে শহরতলীর কোমরপুরে আব্দুল আজিজ ইন্সটিটিউট মাঠে। বুধবার রাত থেকেই এখানে আসতে শুরু করেন নেতা-কর্মীরা।
শুক্রবারও ফরিদপুর জেলা বাস মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদের ডাকা বাস ধর্মঘটের মধ্যে পায়ে হেঁটে বা ট্রাকের ভিতর শুয়ে সমাবেশস্থলে আসছেন বিএনপির নেতা-কর্মীরা। এ ছাড়া ছোট ছোট মিছিল নিয়েও আসছেন তারা।
শুক্রবার এ মাঠেই জুম্মার নামাজ আদায় করেছেন তারা।
শরীয়তপুর থেকে আসা বিএনপি নেতা কাইয়ুম মিয়া বলেন, “বুধবার রাতে সমাবেশস্থলে এসেছি। রাতে এই মাঠেই মাদুর বিছিয়ে থাকছি। খাওয়া-দাওয়া এখানেই করছি কোনরকমে।”
তিনি বলেন, “সমাবেশস্থলের পাশেই নদী রয়েছে, সেখানেই গোসল করছি। শুক্রবার সমাবেশস্থলের মাঠেই জুম্মার নামাজ আদায় করেছি। সমাবেশ শেষ করে বাড়ি ফিরবো।”
বোয়ালমারী থেকে আসা ছাত্রদল কর্মী আশরাফুল আলম বলেন, “ধর্মঘটের কারণে আসতে সমস্যা হবে তাই বৃহস্পতিবার রাতেই সমাবেশস্থলে চলে এসেছি। রাতে এখানেই ছিলাম।”
ঢাকার দোহার থেকে আসা ছাত্রদল কর্মী সাইফুল ইসলাম বলেন, “ধর্মঘট থাকায় ট্রাকের ভিতর শুয়ে এসেছি। ভেঙে ভেঙে আসতে হয়েছে। তারপরও মনে কষ্ট নেই।”
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, লোডশেডিং, দুর্নীতি-দুঃশাসন, লুটপাট, মামলা-হামলা, গুম, হত্যা, ভোটাধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা এবং খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে বিএনপি ১০টি সাংগঠনিক বিভাগে সমাবেশের কর্মসূচি পালন করছে। এর ধারাবাহিকতায় ফরিদপুরে গণসমাবেশ হবে শনিবার।
শুক্রবার সকাল থেকেই বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ সমাবেশস্থলে রয়েছেন। জনসভাস্থলের মঞ্চ ও আলোকসজ্জার কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এ ছাড়া ব্যানার ও ফেস্টুনে সাজানো হয়েছে সমাবেশের আশেপাশের স্থান।
বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ বলেন, “সারা দেশে আজ গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে। সমাবেশে নেতাকর্মীদের আসতে বিভিন্নভাবে বাধা দেওয়া হচ্ছে। আমাদের থামিয়ে রাখা যাবে না। সমাবেশ সফল হবেই।“
এদিকে, ফরিদপুরের মহাসড়কে থ্রি-হুইলার, মাহেন্দ্র, ভটভটি চলাচলের প্রতিবাদে শুক্রবার সকাল ৬টা থেকে শনিবার রাত ৮টা পর্যন্ত মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের ডাকা ধর্মঘট শুরু হয়েছে।
সকাল থেকেই বাস চলাচল বন্ধ থাকায় ভোগান্তিতে পড়েছে সাধারণ মানুষ।
আরও পড়ুন: