বরিশালে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের মামলায় এক পুলিশ কনস্টেবলকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।
বুধবার বরিশাল নারী ও শিশু নির্যাতন দম ট্রাইব্যুনালের বিচারক ইয়ারব হোসেন এ আদেশ দেন।
এনায়েত হোসেন (৪২) নামের এই কনস্টেবল হিজলা থানায় কর্মরত ছিলেন। মামলার পর তাকে পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করা হয়েছে।
ওই আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. হুমায়ন কবির জানিয়েছেন, বুধবার এনায়েত হোসেন আদালতে হাজির হয়ে জামিনের প্রার্থনা করেন। শুনানি শেষে বিচারক আবেদন নাকচ করে তাকে জেল হাজতে পাঠানোর আদেশ দেন।
বেঞ্চ সহকারী হুমায়ন কবির বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, গত ১৪ জুন এক কিশোরী বাদী হয়ে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের অভিযোগ এনে আদালতে মামলা করে। মামলার পর কনস্টেবল উচ্চ আদালত থেকে ছয় সপ্তাহের জামিন নিয়েছিলেন। জামিনের মেয়াদ শেষে নিম্ন আদালতে হাজির হয়ে ফের জামিন আবেদন করেন।
মামলার বরাতে বাদী কিশোরী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, পাশাপাশি উপজেলার বাসিন্দা হওয়ায় তাদের মধ্যে পরিচয় হয়। বিয়ের প্রলোভন দিয়ে ২০২০ সালে ১ নভেম্বর তাকে নারায়নগঞ্জের ফতুল্লা এলাকায় নেন এই কনস্টেবল। সেখানে স্বামী-স্ত্রীর পরিচয় দিয়ে বসবাস করেন।
“পরে বিয়ের জন্য চাপ দিলে তিনি কৌশলে সেখান থেকে পালিয়ে আসেন। পরে আবার বিয়ে করবে জানিয়ে বরিশাল নগরীর একটি আবাসিক হোটেলে নিয়ে ধর্ষণ করেন।”
এ ঘটনায় তিনি বাদী হয়ে বরিশাল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন বলে জানান।