৭০০ স্থায়ী কর্মী দিয়ে জুট মিলের কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
Published : 15 Nov 2022, 08:24 PM
কাজে আসতে নিষেধ করা হয়েছে যশোরের অভয়নগরের নওয়াপাড়ায় অবস্থিত আকিজ জুট মিলের ৬ হাজার ৩০০ কর্মীকে।
রপ্তানির অর্ডার না থাকা এবং দেশের বাজারে পাটের মূল্যবৃদ্ধির কারণে কারখানাটি পুরোপুরি সচল রাখতে না পারায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন মিলের নির্বাহী পরিচালক শেখ আব্দুল হাকিম।
দেশের বেসরকারি পর্যায়ের অন্যতম বৃহৎ এই জুট মিলে তিন শিফটে যশোর, খুলনা ও নড়াইল জেলার বিভিন্ন উপজেলার প্রায় সাত হাজার শ্রমিক নিয়মিত কাজ করেন।
এসব শ্রমিককে প্রতিদিন ২৩টি বাসের মাধ্যমে কারখানায় আনা-নেওয়া করা হয়। মঙ্গলবার থেকে আকস্মিকভাবে এই বাস সার্ভিস বন্ধ করে দিয়েছে মিল কর্তৃপক্ষ।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কর্তৃপক্ষ স্থায়ী ৭০০ শ্রমিক বাদে অন্যদের কাজে আসতে নিষেধ করেছে।
এ বিষয়ে শেখ আব্দুল হাকিম জানান, তাদের পণ্য মূলত তুরস্কে যায়। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে উৎপাদিত পণ্য পাঠানো যাচ্ছে না। আর পাঠাতে গেলে খরচও বেশি হচ্ছে। সেই সঙ্গে নতুন অর্ডারও কমে গেছে।
“এছাড়া পাটের দাম অনেক বেশি। সবমিলিয়ে তিন শিফটে উৎপাদন সচল রাখা সম্ভব হচ্ছে না। লোকসান এড়াতে স্থায়ী শ্রমিকদের দিয়ে এখন দুটি শিফটে কাজ চলছে।”
তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে কারখানার কার্যক্রমও পূর্ণ উদ্যমে শুরু করা হবে, তখন বদলি শ্রমিকরা কাজে যোগ দিতে পারবেন বলে জানান এই কর্মকর্তা।
কাজ হারিয়ে দিশেহারা আকিজ জুট মিলের শ্রমিক অভয়নগর উপজেলার পায়রা গ্রামের কুলসুম বেগম বলেন, “আকিজ জুট মিলে কাজ করেই আমার সংসার চলে। কাল থেকে কীভাবে সংসার চালাবো জানি না।”
এই জুট মিলের সিবিএ সভাপতি আব্দুস সালাম জানান, মিলে প্রায় ছয় হাজার ৩০০ বদলি শ্রমিক রয়েছে।তাদেরকে কাজে আসতে নিষেধ করা হয়েছে। বাকি ৭০০ স্থায়ী কর্মী দিয়ে মিলের কার্যক্রম চলমান রয়েছে।