২৬০ শতাংশ জমির ৫শ’ কলা গাছ, ৩০টি আম গাছ, ৬০টি লিছু গাছ, ৫০টি মেহগুনী গাছ ও ২০০টি চাম্বল গাছ কেটে ফেলা হয়েছে।
Published : 28 Jan 2024, 08:19 PM
আদালতে করা একটি মামলার ‘স্বাক্ষ্য দেওয়া নিয়ে’ দ্বন্দের জেরে গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলায় এক ব্যক্তির সাড়ে আটশ গাছ কেটে ফেলার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে।
মুকসুদপুর থানার এসআই শামীম রোববার দুপুরে জানান, উপজেলার মহারাজপুর ইউনিয়নের নারায়ণপুর গ্রামে শুক্রবার রাতে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী আবু হায়াত মৃধা (৪৫) ওই এলাকার বাসিন্দা। শনিবার তিনি থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
হায়াত অভিযোগে জানান, এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে গত বছরের অক্টোবরে স্থানীয় মুকসুদপুর উপজেলা সদরের বাসিন্দা রিপন মৃধার সঙ্গে একই এলাকার মুরাদ মৃধার সমর্থকদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা ও হাতাহাতি হয়।
এ ঘটনায় রিপন পাঁচজনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাত পরিচয় ২৫ জনকে আসামি করে একটি মামলা করেন। এতে হায়াত ও তার বড় ভাই রুঙ্গু মৃধাকে স্বাক্ষী করা হলে মুরাদ স্বাক্ষ্য না দেওয়ার ‘হুমকি’ দেন।
হায়াত বলেন, “কিন্তু আমি আদালতে স্বাক্ষ্য দেব বলে জানিয়ে দেই। এর পরই শুক্রবার রাতে কে বা কারা আমার ২৬০ শতাংশ জমির ৫শ’ কলা গাছ, ৩০টি আম গাছ, ৬০টি লিছু গাছ, ৫০টি মেহগনি গাছ ও ২০০টি চাম্বল গাছ কেটে ফেলে।
“কলাগুলো কেটে ফালা-ফালা করে দিয়েছে। ধারণা করছি, মুরাদ ও তার লোকজন এ ঘটনা ঘটিয়েছে।”
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে মুরাদ বলেন, “আমি ও আমার ভাইদের বিরুদ্ধে হায়াত থানায় অভিযোগ করেছে। কিন্তু আমি গ্রামে থাকি না; তাই কোনো অবস্থাতেই আমি এতে জড়িত নই।
“যেহেতু আমি গ্রামের মাতবরি করি, তাই গাছ কাটার খবর শোনার পর আমি ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। দেখলাম গাছ কেটে বেশ ক্ষতি করা হয়েছে।”
মামলান স্বাক্ষ্য না দিতে হুমকির বিষয়ে তিনি বলেন, “একটি মামলায় হায়াতকে সাক্ষী করা হয়েছে; কিন্তু এ নিয়ে আমি তাকে কোনো হুমকি দেইনি। বরং এটি মিমাংসা করার জন্য আমরা উদ্যোগ নিয়েছিলাম। কিন্তু তার আগেই গাছ কাটার ঘটনা ঘটল।”
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শামীম জানান, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলেছেন। দ্রুত প্রতিবেদন দাখিল করে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।