সোমবার সকাল পর্যন্ত ১৯৬.৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে বলে জানান পটুয়াখালী ও কলাপাড়া রাডার স্টেশন কর্মকর্তারা
Published : 24 Oct 2022, 12:06 PM
বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে পটুয়াখালীর উপকূল জুড়ে হালকা-মাঝারি বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে।
সোমবার সকাল পর্যন্ত দেশের সর্বোচ্চ ১৯৬.৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে বলে জানান পটুয়াখালী ও কলাপাড়া রাডার স্টেশন কর্মকর্তারা।
জেলায় ৭০৩টি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্রের পাশাপাশি ২৬টি মুজিব কিল্লাও প্রস্তুত রাখা রয়েছে বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসন।
এদিকে সিত্রাংয়ের প্রভাবে থেমে থেমে দমকা হাওয়া বইছে। ফলে কুয়াকাটা সংলগ্ন বঙ্গোপসাগর বেশ উত্তাল রয়েছে। নদ-নদীর পানি কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং ধেয়ে আসার খবরে উপকূলের মানুষের মাঝে আতংক দেখা দিয়েছে। রাস্তাঘাট প্রায় ফাঁকা অবস্থায় দেখা গেছে। বৃষ্টির কারণে ভোগান্তিতে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষ।
আবহাওয়া বিশেষ বিজ্ঞপ্তি-৮ এ পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। সকাল ৬টায় পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে ৫০০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিম দিকে অবস্থান করছিল।
পাশাপাশি উপকূলীয় জেলা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে পাঁচ থেকে আট ফুট অধিক উচ্চতার বায়ুতাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে বলে আশঙ্কা জানানো হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।
পটুয়াখালী আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহবুবা সূখী জানান, সোমবার সকাল ৯টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় পটুয়াখালী আবহাওয়া অফিস ৭৯.৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে।
কলাপাড়া রাডার স্টেশনের উচ্চ পর্যবেক্ষক মো. ফিরোজ কিবরিয়া জানান, কলাপাড়ায় সকাল ৯টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘন্টায় ১১৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
এদিকে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের আঘাত হানার আশঙ্কায় উপকূলীয় এলাকার জনসাধারণের জানমাল রক্ষাসহ পরবর্তীতে সব ধরনের ক্ষয়ক্ষতি মোকাবেলায় রোববার দুপুরে প্রস্তুতিমূলক সভা করেছে জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি।
সভায় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামাল হোসেন জানান, ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলার জন্য মানুষের জানমাল রক্ষা, আঘাত হানার পূর্বে উপকূলের ঝুকিপূর্ণ এলাকার জনসাধারণকে নিরাপদে কাছাকাছি আশ্রয় কেন্দ্রে সরিয়ে নেওয়াসহ পরবর্তী সকল ধরনের উদ্ধার তৎপরতার বিষয়ে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
জেলার আট উপজেলায় মোট ৭০৩টি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এছাড়াও ২৬টি মুজিব কিল্লা প্রস্তুত রয়েছে। জেলায় প্রতিটি ইউনিয়নে মেডিকেল টিম, পর্যাপ্ত খাবার স্যালাইন, পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট, শুকনা খাবার এবং নগদ অর্থ সরবরাহ করা হয়েছে।
পাশাপাশি মানুষের জানমাল নিরাপত্তাসহ সব বিষয়ে আইনশৃংঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সার্বিক সহযোগিতা করবেন বলে জানান জেলা প্রশাসক।