শেরপুরের শ্রীবরদী সীমান্ত দিয়ে অবৈধ্ভাবে ভারতে প্রবেশের সময় এক তরুণীসহ পাঁচ যুবককে গ্রেপ্তার করেছে বিজিবি।
সোমবার উপজেলার হারিয়াকোনা গ্রামে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানিয়েছেন শ্রীবরদী থানার ওসি বিপ্লব কুমার বিশ্বাস।
তবে বিজিবির উপস্থিতি টের পেয়ে তাদের সঙ্গে থাকা আরও তিন যুবক পালিয়ে যায় বলে জানায় পুলিশ। এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে।
গ্রেপ্তাররা হলেন দিনাজপুরের হাকিমপুরের নওদাপাড়া গ্রামের ফারুক আহমেদের ছেলে ফরহাদুল ইসলাম (২৩), নওগাঁর বদলগাছীর ওকন্দীপুর গ্রামের আকরাম হোসেনের ছেলে নাজিম উদ্দীন (২২), শেরপুরের শ্রীবরদীর বকুলিকান্দা গ্রামের সবুজ মিয়ার ছেলে রফিকুল ইসলাম (২৬), ময়মনসিংহের গৌরীপুরের কলতাপাড়া গ্রামের আসাদ মিয়ার ছেলে জয় (৩০) এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার ইটনা গ্রামের আব্দুল কুদ্দুস মিয়ার মেয়ে খাদিজা বেগম (২২)।
এ ছাড়া শেরপুরের শ্রীবরদীর মেঘাদল গ্রামের ছলিম উদ্দিনের ছেলে ফারুক মিয়া (৩৪), বাবেলাকোনা গ্রামের রবিউল ইসলামের ছেলে দিলু মিয়া (২৫) ও চান্দাপাড়া গ্রামের আজহার ঘোপার ছেলে জিনু মিয়া (২৫) পালিয়ে গেছেন বলে পুলিশ ও বিজিবি জানিয়েছে।
কর্ণঝোড়া বিজিবি ক্যাম্প কমান্ডার নায়েব সুবেদার মো. জাকির হোসেন বলেন, “একদল যুবক অবৈধ্ভাবে ভারতে প্রবেশের চেষ্টা করছেন খবর পেয়ে সীমান্তের পাশের গ্রামে অবস্থান নিই।
“এ সময় তিনজন পালিয়ে গেলেও এক তরুণীসহ পাঁচ যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পরে তাদের শ্রীবরদী থানায় হস্তান্তর করা হয়।”
গ্রেপ্তারদের জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্যের বরাতে ওসি বিপ্লব কুমার বলেন, “তারা সবাই পোশাক শ্রমিক। ভারতে উচ্চ বেতনের চাকরির আশায় দালালের মাধ্যমে তারা অবৈধভাবে এ পথ দিয়ে দেশটিতে প্রবেশের চেষ্টা করেন।”
মঙ্গলবার গ্রেপ্তারদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে শেরপুর আদালতে পাঠানো হয়েছে বলে জানান ওসি।
এ ছাড়া পালাতক তিনজনকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে জানায় পুলিশ।
শেরপুর আদালত পুলিশের পরিদর্শক কেএম শহীদুল হক জানান, আগামী ২১ মে গ্রেপ্তারদের রিমান্ড শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে।