র্যাব ও কোস্টগার্ডসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যৌথ উদ্ধার অভিযান শুরু করেছে।
Published : 19 Feb 2023, 04:04 PM
বঙ্গোপসাগরে একটি মাছ ধরার ট্রলারের মাঝিসহ নয় জেলেকে ডাকাতরা কুপিয়ে ও গুলি করে সাগরে ফেলে দেওয়ার ২৪ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও তাদের সন্ধান মেলেনি।
রোববার সকালে র্যাব-৮ ও কোস্টগার্ডসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদের সন্ধানে যৌথ উদ্ধার অভিযান শুরু করেছে। একটি ট্রলার ও একটি স্পিডবোট নিয়ে রোববার বেলা পৌনে ১২টার দিকে বঙ্গোপসাগরের উদ্দেশে রওনা হয়েছে উদ্ধারকারী দল।
পাথরঘাটা মৎস্য বন্দর থেকে ৯০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে ‘এফবি ভাই ভাই’ নামের একটি মাছ ধরার ট্রলারে শুক্রবার রাত দেড়টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় ডাকাতরা ট্রলারে থাকা বাকি নয় জেলেকে জিম্মি করে মালামাল লুট করে নিয়ে যায়।
ট্রলার মালিকসহ সব জেলেদের বাড়ি বরগুনা জেলার নলী গ্রামে বলে জানা গেছে।
র্যাব-৮ এর পটুয়াখালী কোম্পানি অধিনায়ক সহকারী পুলিশ সুপার তুহিন রেজা বলেন, “কোস্টগার্ডের সঙ্গে আমাদের একটা টিম সাগরে উদ্ধার অভিযানে কাজ করছে। অপর একটি টিম তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমেও কাজ করছে।”
বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী বলেন, “ডাকাতরা চলে যাওয়ার সময় ট্রলারের ইঞ্জিন বিকল করে রেখে যায়। এরপর ট্রলারটি ভাসতে ভাসতে নেটওয়ার্কের মধ্যে আসে। পরে শনিবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে ট্রলারের মাঝিরা মালিক সমিতিকে অবহিত করে।”
বঙ্গোপসাগরে ৯ জেলেকে ‘গুলি করে ও কুপিয়ে’ সাগরে ফেলেছে ডাকাতরা
শনিবার রাত ৮টার দিকে পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ট্রলারের ওই নয় জেলেকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে বলে গোলাম মোস্তফা চৌধুরী জানান।
তাদের মধ্যে ছয়জনকে বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। বাকি তিনজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেরে-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
ট্রলারের সহকারী মাঝি নুর মোহাম্মদ বলেন, শুক্রবার রাত ১০টার দিকে মহিপুর থেকে বঙ্গোপসাগরে মাছ শিকারের জন্য ‘এফবি ভাই ভাই’ ট্রলারে রওনা দেন। রাত ২টার দিকে পায়রা বন্দর এলাকা থেকে গভীরে গেলে পেছন দিক থেকে আসা আরেকটি ট্রলার তাদের ট্রলারে জোরে ধাক্কা দেয়।
“এ সময় আট-দশজনের ডাকাত তাদের ট্রলারে উঠে গুলি ও এলোপাতাড়ি কোপাতে শুরু করে। এ সময় খোকন নামে এক জেলে গুলিবিদ্ধ হয়ে সাগরে পড়ে যায়। ”
এরপর ডাকাতরা ট্রলারের মাঝি শফিক, কাইয়ুম জোয়াদ্দার, ইয়াসিন জোয়াদ্দার, আবুল কালাম, খায়রুল, আব্দুল হাই, আব্দুল আলীম ও ফরিদ মিয়াকে কুপিয়ে বঙ্গোপসাগরে ফেলে দেয় বলে নূর জানান।
তিনি আরও বলেন, এরপর ডাকাতরা বাকি ৯ জেলেকে জিম্মি করে ট্রলারে থাকা জাল-দড়ি ও বাজার সদাইসহ ১৫ লাখ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায়।