ঘুষের অভিযোগ পেয়ে নীলফামারী বিআরটিএ কার্যালয়ে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক। এ সময় পাঁচ কর্মচারীর মোবাইল ফোন জব্দ করেছে সংস্থাটি।
সোমবার সকাল সাড়ে ১১টা থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত দুদক রংপুর কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. হোসাইন শরীফসহ পাঁচ সদস্যের একটি দল এ অভিযান চালায়।
দুদক বলছে, মোটরসাইকেল রেজিস্ট্রেশন করতে গেলে এক ব্যক্তির কাছে চার হাজার টাকা ঘুষ দাবি করেন বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি-বিআরটিএ নীলফামারী কার্যালয়ের একজন সহকারী পরিচালক। পরে ওই ব্যক্তি দুদকের প্রধান কার্যালয়ে একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
দুদকের পরিচালক হোসাইন শরীফ বলেন, “অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে দুদক সদস্যরা ছদ্মবেশে বিআরটিএ কার্যালয় চত্বরে অবস্থান নেয়। এ সময় সেখানে আসা সেবা গ্রহীতাদের সঙ্গে কথা বলে সংস্থাটির সহকারী পরিচালক ফারুক আলমসহ আরও ছয় কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে মোটরসাইকেল রেজিস্ট্রেশন, নাম পরিবর্তন, ফাইল লুকিয়ে রাখা ও ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রদানে ঘুষ দাবিসহ নানাভাবে হয়রানির অভিযোগ পাওয়া যায়।
“পরে কার্যালয়ে অভিযান চালিয়ে অফিস সহকারী নারায়ণ গোস্বামী, অফিস সহায়ক মাসুমা আক্তার, এনরোলমেন্ট প্রজেক্টের কর্মচারী শাহিন আলম, মারুফ হোসেন, রেজাউল ইসলাম ও আব্দুল আজিজের মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়। এর মধ্যে আব্দুল আজিজ ছাড়া পাঁচজনের মোবাইলের বিকাশ নম্বরে বিপুল পরিমাণ অর্থ লেনদেনের তথ্য পাওয়া যায়।”
অভিযানে পাওয়া তথ্য-প্রমাণ যাচাই-বাছাই করে দুদক কমিশন বরাবর প্রতিবেদন দাখিল করা হবে; নির্দেশ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান দুদকের হোসাইন।
এ দিকে দুদকের অভিযানের বিষয়ে জানতে বিআরটিএর সহকারী পরিচালক ফারুক আলমের কাছে গেলে তিনি কথা বলতে অস্বীকৃতি জানান।
[প্রতিবেদনটি প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ তারিখে: ফেসবুক লিংক]