“আমি ইয়াছিন বেপারীর দোকানে চা খাচ্ছিলাম। এ সময় হকিস্টিক ও লাঠি দিয়ে ৩০-৪০ জন হামলা চালায়।”
Published : 10 Dec 2023, 07:59 PM
ফরিদপুর-৩ আসনের (সদর) স্বতন্ত্র প্রার্থীর অনুসারীদের মারধরের অভিযোগে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর সমর্থকদের নামে থানায় অভিযোগ করা হয়েছে।
কোতোয়ালি থানার রায়কাইল গ্রামে শনিবার রাতে স্বতন্ত্র প্রার্থী এ কে আজাদের সমর্থক আলমগীর হোসেনের ওপর এ হামলার ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে বলে আলমগীর জানান।
ফরিদপুর কোতায়ালি থানার ওসি এম এ জলিল জানান, এ ঘটনায় রোববার নয়জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাত পরিচয় আরও ২০-২৫ জনের বিরুদ্ধে একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন আলমগীর।
জিডিতে ফরিদপুর-৩ আসনের আওয়ামী লীগের প্রাথী শামীম হকের সমর্থক মো. সোহরাব শেখ (৪০), মো. কবির মোল্লা (৫০), চঞ্চল মিয়া (৫০), মো. তাওহিদ ইবনে আলম সারজেন মিয়া (৩৫), মো. আসলাম (৩৬), মো. জাহিদুল শেখ (৩২), মো. শরিফ মিয়া (২৮), মো. কুদ্দুস বেপারী (৫০) ও মো. মুবেলের (৩৫) নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
অভিযোগে বলা হয়, হামলার সময় আলমগীরের চিৎকারে নুরুল আমিন, আজিম উদ্দিন বিশ্বাস, হযরত আলী খান, আলামিন মাতবার, নূর মোহাম্মদ, ইয়াছিন, মিন্টু ও সেলিমসহ আরও কয়েকজন গিয়ে তাকে বাঁচানোর চেষ্টা করে। এ সময় তাদের ওপরও হামলা করা হলে গুরুতর আহত হন। হামলাকারীরা গালিগালাজ করে ও প্রাণনাশের হুমকি দেয়।
ঘটনার বর্ণনায় আলমগীর বলেন, “নির্বাচনকে সামনে রেখে আমি স্বতন্ত্র প্রার্থী এ কে আজাদের সমর্থনে এলাকায় কাজ করছি। কিন্তু নৌকার প্রার্থী শামীম হকের পক্ষে কাজ করতে তার সমর্থক সদর উপজেলা চাঁদপুর ইউনিয়নের সাবেক মেম্বার সোহরাব শেখ আমাকে নানা ভাবে চাপ দিচ্ছিলেন।
“ শনিবার রাতে আমি রায়কাইল গ্রামে ইয়াছিন বেপারীর দোকানে চা খাচ্ছিলাম। এ সময় হকিস্টিক ও লাঠি দিয়ে ৩০-৪০ জন আমিসহ আরও কয়েকজনের ওপর হামলা চালায়। হামলাকারীরা আমাকে আজাদ ভাইয়ের পক্ষে কাজ না করার হুমকি দেয়।”
তিনি বলেন, “হামলার সময় তারা বলে, আজাদের নির্বাচন যারা করবে, তাদের মাইরা হাড় ভেঙে দেওয়া হবে। এ দেশে তাদের থাকতে দেওয়া হবে না। এ সময় দোকানপাটও ভাঙচুর করে তারা।”
পরে পুলিশকে খবর দেওয়া হলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায় বলে জানান আলমগীর।
ওসি এম এ জলিল বলেন, “খবর পেয়ে রাতেই পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। উভয় পক্ষকেই শান্ত থাকতে বলা হয়েছে। আমরা লিখিত অভিযোগ তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহণ করব।“
ঘটনার পর থেকে সোহরাব শেখ পলাতক রয়েছেন বলে জানান তিনি।