রংপুর পাবলিক লাইব্রেরি চত্বরে বিভাগীয় গণসমাবেশে হেফাজতে ইসলামের মহাসচিব শায়েখ সাজিদুর রহমান এই ঘোষণা দেন।
Published : 15 Sep 2024, 11:11 PM
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত আবু সাঈদের স্মরণে মাদরাসা প্রতিষ্ঠা করার ঘোষণা দিয়েছে হেফাজতে ইসলাম।
সংগঠনটির মহাসচিব শায়েখ সাজিদুর রহমান বলেছেন, “জামিয়া শহীদ আবু সাঈদ নামে একটি মাদরাসা প্রতিষ্ঠা করা হবে। সেটি হবে আবু সাঈদের গ্রামের বাড়ি রংপুরের পীরগঞ্জে তার কবরের পাশে।”
রংপুর পাবলিক লাইব্রেরি চত্বরে শনিবার সংগঠনের বিভাগীয় গণসমাবেশে তিনি এ ঘোষণা দেন।
হেফাজতের মহাসচিব সাজিদুর রহমান বলেন, “এই স্বাধীনতা অর্জনে উলামায়ে কেরামের সবচেয়ে বেশি অবদান রয়েছে। আগামীতে এই জমিনে কোনো জালিমকে ছাত্র-জনতা বরদাশত করবে না।”
তিনি বলেন, “সংবিধান সংশোধন করে সর্বশক্তিমান আল্লাহর প্রতি আস্থা ও বিশ্বাস প্রতিস্থাপন করতে হবে। আগামী শিক্ষাবর্ষ শুরুর আগেই জাতীয় শিক্ষা কারিকুলাম থেকে ইসলামের সঙ্গে সাংঘর্ষিক সব বিষয় বাদ দিয়ে নতুন পাঠ্যপুস্তক তৈরি করতে হবে। ২০১৩ সাল থেকে আজ অবধি হেফাজতের নামে দায়েরকৃত সব মিথ্যা মামলা অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে।”
সমাবেশে হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হক বলেন, “আওয়ামী লীগের শেখ হাসিনা রাতে দংশন করত সংখ্যালঘুদের; আর দিনের বেলা ওঝা হয়ে ঝাড়ত। কিন্তু ৫ অগাস্টের পর সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতনের নাটক বন্ধ হয়ে গেছে। এ ক্ষেত্রে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ ঐতিহাসিক দায়িত্ব পালন করেছে। হেফাজতে ইসলাম সম্প্রীতির বাংলাদেশ চায়, কোনো দাঙ্গা-হাঙ্গামা চায় না।”
তিনি বলেন, “বিরোধী দল হিসেবে বিএনপি নির্যাতনের শিকার হয়েছে, জামায়াতে ইসলামী নির্যাতনের শিকার হয়েছে, হেফাজতে ইসলাম গণহত্যার শিকার হয়েছে। সব হত্যাকাণ্ডের বিচার চাই। শেখ হাসিনাকে ধরে এনে তার মন্ত্রিপরিষদের সদস্যদের বাংলার মাটিতে বিচার কায়েম করতে হবে।”
হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের নায়েবে আমির মাওলানা মুহাম্মদ ইউনুসের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরো বক্তব্য দেন সংগঠনের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা জুনায়েদ আল হাবীব, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেদী, মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী, অর্থ সম্পাদক মুফতি মুনীর হোসাইন কাসেমী, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা মুফতি বশির উল্লাহ, জুম্মাপাড়া মাদ্রাসার মুহতামিম হাফেজ ইদ্রিস আলী।
এর আগে মহাসচিব শায়েখ সাজিদুর রহমানের নেতৃত্বে হেফাজতের নেতাদের একটি প্রতিনিধিদল নিহত আবু সাঈদের কবর জিয়ারত করেন এবং পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে গভীর সমবেদনা জানান।
এ সময় হেফাজতের পক্ষ থেকে আবু সাঈদের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়।