“রানওয়েতে বিমান অতরণের সময় যাত্রী অনুভব করবেন সমুদ্র নামছেন; যা পর্যটন শিল্পে ব্যাপক পরিবর্তন নিয়ে আসবে।”
Published : 16 Feb 2024, 09:58 PM
কক্সবাজার বিমানবন্দরে দেশের দীর্ঘতম আন্তর্জাতিক মানের রানওয়ে উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে; আগামী ডিসেম্বর থেকে এখানে দেশি ও আন্তর্জাতিক সকল বিমান ওঠা-নামা করবে।
শুক্রবার দুপুরে প্রকল্পের কাজ পরিদর্শনে গিয়ে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের মুখ্য সচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়া।
প্রধানমন্ত্রীর একান্ত ইচ্ছায় এমন প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে জানিয়ে মুখ্য সচিব বলেন, “নয় হাজার ফুট রানওয়ের সঙ্গে সমুদ্র বক্ষে ১৭০০ ফুট রানওয়ে বাড়িয়ে ১০ হাজার ৭০০ ফুটের রানওয়ে নির্মাণ হচ্ছে।
“রানওয়েতে বিমান অতরণের সময় যাত্রী অনুভব করবেন সমুদ্র নামছেন; যা পর্যটন শিল্পে ব্যাপক পরিবর্তন নিয়ে আসবে। আগামী ডিসেম্বরে রানওয়েতে বিমান অবতরণ করবে।”
এর আগে সকাল সাড়ে ৮টার দিকে তোফাজ্জল হোসেন মিয়া কক্সবাজারের খুরুশকুলের সর্ববৃহৎ জলবায়ু উদ্বাস্তুদের জন্য হওয়া আশ্রয় কেন্দ্র পরিদর্শনে যান।
যেখানে নির্মাণাধীন ভবন পরিদর্শন, বাস্তবায়নকারী সেনা কর্মকর্তাসহ বসবাসরত পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে আলাপ করেন মুখ্য সচিব।
এ সময় তিনি সাংবাদিকদের বলেন, বিশ্বের সর্ববৃহৎ এ আশ্রয় কেন্দ্রে ১৯টি ভবনে আশ্রয় নিয়েছেন চার হাজার পরিবার। আরও ৬০টি ভবন নির্মাণ শেষ পর্যায়ে। আগামী দুই মাসের মধ্যে আরও আড়াই থেকে তিন হাজার পরিবার এখানে আশ্রয় পাবেন।
১৯৯১ সালের প্রলয়ংকারী ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের আশ্রয় দিয়ে প্রধানমন্ত্রী ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন মন্তব্য করে তোফাজ্জল হোসেন আরও বলেন, “এখানে প্রাথমিক বিদ্যালয় না থাকার বিষয়টি উঠে এসেছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে আশ্রয় কেন্দ্রে স্কুল ও কমিউনিটি ক্লিনিক চালু করা হবে।”
পরিবেশ বান্ধব এই আশ্রয় কেন্দ্রে খেলার মাঠ, মসজিদ, মন্দিরসহ অন্যান্য সুযোগ সুবিধারও ব্যবস্থা করা হবে বলে তিনি জানান।
পরিদর্শনের সময় কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
[প্রতিবেদনটি প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ তারিখে: ফেইসবুক লিংক]