‘ফ্যাসিবাদ বিরোধী সকল শক্তি’-এর ব্যানারে বিকেল সোয়া ৩টার দিক থেকে নবাবগঞ্জ সরকারি কলেজে গেটের সামনে জড়ো হতে থাকে ছাত্র-জনতা।
Published : 06 Feb 2025, 08:41 PM
চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর চালানো হয়েছে। একইসঙ্গে হামলা চালানো হয়েছে সাবেক সংসদ সদস্যের কার্যালয় ও বাসভবনে।
বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে ৪টা থেকে ৫টা পর্যন্ত আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে ভাঙচুর শেষে দলের জেলা সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওদুদের কার্যালয় ও বাড়িতে এ হামলা চালানো হয় বলে জানিয়েছেন সদর থানার ওসি মো. রইস উদ্দীন।
এর আগে ‘ফ্যাসিবাদ বিরোধী সকল শক্তি’-এর ব্যানারে বিকেল সোয়া ৩টার দিক থেকে নবাবগঞ্জ সরকারি কলেজে গেটের সামনে জড়ো হতে থাকে ছাত্র-জনতা। পৌনে ৪টার দিকে তারা বিক্ষোভ মিছিল বের করে।
মিছিলে স্লোগান ছিল 'ফাঁসি-ফাঁসি-ফাঁসি চাই, শেখ হাসিনার ফাঁসি চাই’; ‘আওয়ামী লীগের আস্তানা, জ্বালিয়ে দাও-পুড়িয়ে দাও’;‘ফ্যাসিবাদের আস্তানা, বাংলাদেশে থাকবে না’; ‘মুজিববাদের আস্তানা, বাংলাদেশে থাকবে না’।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, মিছিলটি জেলা শহরের বাতেন খাঁ মোড়, নিমতলা মোড়, বড় ইন্দারা মোড় হয়ে ওয়ালটন মোড়ে গিয়ে পুলিশের মৃদু বাধার মুখে পড়ে। কিন্তু বাধা অতিক্রম করে মিছিলটি গার্লস স্কুল রোডের ওয়ালটন মোড় সংলগ্ন জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে।
অগ্নিসংযোগের পাশপাশি নিচতলায় একজনকে বড় হাতুড়ি দিয়ে একটি কক্ষের বন্ধ জানালার দেয়াল ভাঙতেও দেখা যায়।
এ সময় কার্যালয়টির পাশের সবুজ সংঘেও ভাঙচুর চালানো হয়। বিক্ষুব্ধ লোকজন বারান্দার গ্রিলের পাইপ-দরজা ভেঙে নিয়ে যায়।
এরপর তারা ওয়াল্টন মোড় সংলগ্ন, সদর আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওদুদের রাজনৈতিক কার্যালয়ে ভাঙচুর চালিয়ে পাইপ ও লোহালক্কড় খুলে নিয়ে যায়।
এছাড়াও তারা ফায়ার সার্ভিস মোড়ের বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল ভাঙচুর করে আবারও জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে এসে দোতলায় দ্বিতীয় দফায় আগুন দেয়।
এসময় আশপাশের মানুষের মধ্যে ভীতি ছড়িয়ে পড়ে ও রাস্তাঘাটে চলাচল সীমিত হয়ে যায়।
অন্যদিকে বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতার আর একটি দল আব্দুল ওদুদের শহরের হুজরাপুরের খালি বাসভবনে ভাঙচুর চালিয়ে খুলে নিয়ে যায় পাইপ ও লোহালক্কড়। রাত ৮টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত সেখানে ভাঙচুর-লুটপাট চলছিল।
ওসি মো. রইস উদ্দীন জানান, সন্ধ্যা ৬টার দিকে ফায়ার সার্ভিসের একটি দল আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের আগুন নিয়ন্ত্রণে এনেছে। পরে শহরের যান চলাচল ও পরিবেশ অনেকটা স্বাভাবিক হয়ে এসেছে।