২০২৩ সালের মার্চে টানা কয়েকদিন একই ধরনের বর্জ্য সৈকতে ভেসে এসেছিল।
Published : 13 Aug 2024, 09:45 PM
১৭ মাস পর কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের বিভিন্ন পয়েন্টে আবার ভেসে আসছে নানা ধরনের বর্জ্য। আর এসব অপসারণে ব্যস্ততা বেড়েছে সৈকতের পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের।
মঙ্গলবার সকালে জোয়ারের সময় এসব বর্জ্য ভেসে আসতে শুরু করে বলে জানিয়েছেন সৈকতে জেলা প্রশাসনের নিয়োগ করা বিচকর্মী বেলাল হোসেন।
তিনি জানান, সৈকতের সুগন্ধা, সি গাল, লাবণী, শৈবাল পয়েন্টসহ বিভিন্ন পয়েন্টে বর্জ্য ভেসে আসছে। যেখানে ছোট্ট-ছোট্ট গাছের টুকরা, বাঁশের শেকড়, পোড়া কাঠ, খড় দেখা গেছে।
বর্জ্য ভেসে আসার খবর পেয়ে কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের পর্যটন শাখার দায়িত্বপ্রাপ্ত সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী হাকিম মো. তামজীদুর রহমান তন্ময়ের নির্দেশে সৈকতের পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা বালিয়াড়ি থেকে বর্জ্য সরিয়ে নিচ্ছেন।
তবে এ ব্যাপারে কোনো বিশেষজ্ঞের বক্তব্য পাওয়া যায়নি। আগে ২০২৩ সালে মার্চে টানা কয়েকদিন একই ধরনের বর্জ্য সৈকতে ভেসে এসেছিল।
সেই সময় বাংলাদেশ সমুদ্র গবেষণা ইন্সটিটিউটের (বোরি) মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) ও সমুদ্রবিজ্ঞানী সাঈদ মাহমুদ বেলাল হায়দর জানিয়েছিলেন, সমুদ্রে নিম্নচাপ, বায়ু প্রবাহ, পানির ঘূর্ণায়ন (এডি), পানির গতি প্রবাহসহ সমুদ্র পৃষ্ঠের ধরনের উপর ভিত্তি করে উপকূলের নির্দিষ্ট কিছু জায়গায় ভাসমান প্লাস্টিকসহ ও অন্যান্য বর্জ্য জমা হয়ে থাকে।
এসব নিম্নচাপে জোয়ারের সময় সমুদ্রের উপরিভাগের পানি অতি মাত্রায় বেড়ে গিয়ে ফুলে ওঠে এবং ঘূর্ণায়নের ফলে সমুদ্রের ভাসমান বর্জ্য একসঙ্গে জমা হয়ে সৈকতে ভেসে আসে বলে জানান তিনি।