ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের ২ ঘণ্টা চেষ্টার পর বেলা ১২টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
Published : 29 Nov 2024, 01:27 PM
ময়মনসিংহের মাসকান্দায় বিসিক শিল্প নগরীতে একটি কীটনাশকের গুদামে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। দুই ঘণ্টার চেষ্টায় তা নিয়ন্ত্রণে এনেছে ফায়ার সার্ভিস।
শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে হেকেম বাংলাদেশ কীটনাশক গোডাউনে আগুনের সূত্রপাত ঘটে। পরে আশপাশে ছড়িয়ে পড়ে বলে জানান ময়মনসিংহ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের বিভাগীয় উপ-পরিচালক মতিউর রহমান।
তিনি বলেন, আগুনের খবর পেয়ে ১০টা ৪০ মিনিটের দিকে ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। তবে আগুনের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় পরে আরও সাতটি ইউনিট যুক্ত হয়। ফায়ার সার্ভিসের মোট ১০টি ইউনিটের চেষ্টায় বেলা ১২টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
স্থানীয় বাসিন্দা আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, “সকাল ১০টার দিকে কারখানার পাশেই বসে চা খাচ্ছিলাম। হঠাৎ প্রচণ্ড কালো ধোয়া দেখতে পেয়ে আতঙ্কিত হয়ে পড়ি। পরে দেখি কীটনাশকের গুদামে আগুন লেগেছে। আমরা তা নেভানোর চেষ্টার পাশাপাশি ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেই।
“ততক্ষণে আগুনের প্রচণ্ড ভয়াবহতা দেখতে পাই। গুদামের ভেতরে থাকা ড্রামগুলো বিকট শব্দে বিস্ফোরিত হচ্ছিল। তাতে স্থানীয়দের মাঝে আতঙ্ক বেড়ে যায়। যাই হোক ফায়ার সার্ভিসের চেষ্টায় আশপাশে পুরোপুরি ছড়িয়ে যাওয়ার আগেই আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।”
হেকেম বাংলাদেশ ময়মনসিংহের এরিয়া ম্যানেজার মামুন অর রশিদ বলেন, “গোডাউনটিতে কীটনাশক তৈরির মেটেরিয়াল থাকতো। সেটি সবসময় তালাবদ্ধ ছিল। নিরাপত্তার জন্য শুধু একজন দারোয়ান আছেন। কীভাবে আগুন লেগেছে তা বুঝতে পারছি না।
কারখানাটির ব্যবস্থাপক জামাল উদ্দিন বলেন, গুদামটিতে কীটনাশক তৈরির কাঁচামাল সংরক্ষণ করে পাশের কারখানায় প্যাকেজিং করা হতো। ব্যয়বহুল এসব কাঁচামাল বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি করা হতো। গুদাম ভর্তি মালামাল ছিল। কীটনাশক তৈরির দাহ্য পদার্থে হঠাৎ আগুন লাগলে মুহূর্তেই তা আশেপাশে ছড়িয়ে পড়ে। এতে কারখানাটি পুরোপুরিভাবে ভস্মীভূত হয়েছে। তবে কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা হিসেব না করে বলা যাবে না।
ফায়ার সার্ভিসের উপ-পরিচালক মতিয়ার রহমান বলেন, বিসিক শিল্প নগরী এলাকায় পানির সংকটের কারণে ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের আগুন নিয়ন্ত্রণে বেশ বেগ পেতে হয়। তবে প্রায় দুই ঘণ্টার চেষ্টায় পানি এবং ফোমের সাহায্যে আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনেন কর্মীরা।
ফায়ার সার্ভিসের এ কর্মকর্তা বলেন, “কীটনাশকের রাসায়নিকের আগুন হওয়ায় দ্রুত তা ছড়িয়ে পড়ে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে- যেহেতু রাসায়নিক, সেগুলো কোনো কারণে উত্তপ্ত হয়ে আগুন লাগতে পারে। তবে সেটি তদন্তের পরই সঠিকভাবে বলা যাবে।”