হ্রদের বহুমুখী ব্যবহারের মাধ্যমে স্থানীয়দের জীবনমান উন্নয়নে পরামর্শ চেয়েছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা।
Published : 10 Nov 2024, 10:50 PM
কাপ্তাই হ্রদ খননে সরকার যে পরিকল্পনা নিয়েছে, তা দ্রুত বাস্তবায়ন করার কথা বলেছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা।
রোববার দুপুরে রাঙামাটি জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত কাপ্তাই হ্রদে মৎস্য সম্পদ উন্নয়নে স্টেকহোল্ডারগণের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন তিনি।
কাপ্তাই হ্রদে শুধু মৎস্যসম্পদ উন্নয়নই নয়; হ্রদের বহুমুখী ব্যবহারের মাধ্যমে স্থানীয়দের জীবনমান কীভাবে উন্নত করা যায়, সে বিষয়ে প্রস্তাব ও পরামর্শ চেয়েছেন সুপ্রদীপ চাকমা।
তিনি বলেন, “পূর্বে ঢাকা থেকে সিদ্ধান্ত নিয়ে বিভিন্ন অঞ্চলের উন্নয়ন কার্যক্রমের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হত; যা মাঠ পর্যায়ে ফলপ্রসূ হত না। আমরা এই ধারা ভাঙ্গতে চাই। স্থানীয় পরিকল্পনাগুলো মাঠ পর্যায়ে বসে গ্রহণ করতে চাই।”
যুক্তরাষ্ট্রে নবনির্বাচিত রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বর্তমান সরকার সম্পর্ক প্রসঙ্গে সুপ্রদীপ চাকমা বলেন, আমেরিকায় ক্ষমতায় কে এল, কে এল না সেটা বড় বিষয় নয়, সম্পর্কটা ঠিক রাখাটাই আমাদের জন্য জরুরি।
“আমরা চিন্তাভাবনা করছি, কীভাবে আমাদের প্রতিবেশীর সঙ্গে সম্পর্কে অগ্রসর হব। সেভাবে আমরা নিজেরাই অগ্রসর হচ্ছি। সবকিছুই ঠিকমত চলছে”, বলেন তিনি।
রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খানের সভাপতিত্বে এতে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান রিপন চাকমা, রাঙামাটি পুলিশ সুপার ফরহাদ হোসেন, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা অধীর চন্দ্র দাস, বিএফডিসি কমান্ডার আশরাফুল ইসলাম ভূঁইয়া, কাপ্তাই জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক এটিএম আবুজ্জাহের এবং পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী তনয় ত্রিপুরাসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় বক্তারা বলেন, ষাটের দশকে কাপ্তাই হ্রদ সৃষ্টির পর এখনও ড্রেজিং না হওয়ায় তলদেশ ভরাট হয়ে গেছে। হ্রদে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণের কারণে এর আয়তন দিন দিন কমছে। কাপ্তাই হ্রদ এই এলাকার মানুষের জীবিকা অর্জনের অন্যতম মাধ্যম।
শুষ্ক মৌসুম শুরুর আগেই হ্রদের পানি শুকিয়ে যাওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে মৎস্যসম্পদ। পাশাপাশি যোগাযোগেও ব্যাঘাত ঘটে। দ্রুত হ্রদে ড্রেজিংসহ দখল ও দূষণ রোধে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।