কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে বলে লালমনিরহাট সদর থানার ওসি জানান।
Published : 08 Dec 2024, 11:20 PM
লালমনিরহাটে বাস, মিনিবাস, কোচ ও মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়নের দুটি পক্ষের সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় পুলিশ-সাংবাদিকসহ ১২ জন আহত হয়েছেন।
রোববার দুপুর ১২টার দিকে জেলার কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে বলে লালমনিরহাট সদর থানার ওসি আব্দুল কাদের জানান।
পুলিশ জানায়, পূর্বঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে শ্রমিকদের একটি পক্ষ প্রতিবাদ মিছিল ও একটি পক্ষ সমাবেশ করছিল। উভয় পক্ষই বাস টার্মিনাল এলাকায় মুখোমুখি হলে প্রথমে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। পরে তারা সংঘর্ষ এবং ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় জড়ায়।
এতে সাত-আট জন শ্রমিক, এসআই রাশেদ হোসেন, ডেইলি বাংলাদেশ প্রতিনিধি জিন্নাতুল ইসলাম জিন্না, আজকের দর্পন পত্রিকার সাংবাদিক এস আর শরিফুল ইসলাম রতন আহত হন।
শ্রমিকরা জানান, জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের সভাপতি ওমর ফারুক বাবলুর নেতৃত্বে শ্রমিকরা লালমনিরহাট জেলা বাস, মিনিবাস কোচ ও মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়নের পুরনো রেজিস্ট্রেশন নম্বর (২৪৯৩) বহাল রাখার দাবি করে আসছিলেন। অপরদিকে শ্রমিক ইউনিয়নের নতুন রেজিস্ট্রেশন নেওয়া প্রক্রিয়ার সমর্থনকারী শ্রমিকদের নেতৃত্ব দেন মাহফুজার ও বকুল ড্রাইভার।
শ্রমিক নেতা ওমর ফারুক বাবলু বলেন, “৫ অগাস্ট স্বৈরাচারী সরকার পতনের পর থেকেই মাহফুজার, বকুলসহ বেশ কিছু শ্রমিক আওয়ামী লীগের দোসরদের সঙ্গে মিলে শ্রমিক ইউনিয়নের নতুন রেজিস্ট্রেশন নেওয়ার প্রক্রিয়া চালায়। এর প্রতিবাদ জানিয়ে মিছিল ও মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়।
“শান্তিপূর্ণ মিছিলটি কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল এলাকায় মানববন্ধনের জন্য পৌঁছালে আগে থেকে পরিকল্পনা অনুযায়ী অবস্থান নিয়ে থাকা মাহফুজার, বকুল ড্রাইভারের লোকজন ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। এতে আমাদের কয়েকজন আহত হয়।”
তবে ইট-পাটকেল নিক্ষেপের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন বকুল ড্রাইভার। তিনি বলেন, “বাবলুর নেতৃত্ব হওয়া মিছিল থেকেই বাস টার্মিনালে থাকা শ্রমিকদের ওপর ঢিল ছোড়া হয়। এতে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়।
তিনি বলেন, তখন বাস টার্মিনালে থাকা শ্রমিকরা নতুন করে শ্রমিক ইউনিয়নের রেজিস্ট্রেশন নেওয়ার প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা করছিলেন।
আহত সাংবাদিক এস আর শরিফুল ইসলাম রতন বলেন, “শ্রমিকদের সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ভিডিও ধারণ করার সময় আমাকে ও ডেইলি বাংলাদেশের প্রতিনিধি জিন্নাতুল ইসলাম জিন্নার ওপর হামলা চালায় একটি পক্ষ।”
সাংবাদিকদের ওপর হামলার ভিডিও দেখে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার প্রস্তুতি চলমান বলে জানান তিনি।
লালমনিরহাট সদর থানার ওসি আব্দুল কাদের বলেন, “পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এ ছাড়া অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে ওই এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।”