রোজায় বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে প্রস্তুতি রয়েছে: জ্বালানি উপদেষ্টা

“বিদ্যুৎ উৎপাদনের জ্বালানি, গ্যাস ও কয়লা ক্রয়ের জন্য ডলারের ব্যবস্থা হয়েছে। কয়লা ও গ্যাস সঠিক সময়ে আনা হবে।”

সিরাজগঞ্জে সৌরবিদ্যুৎকেন্দ্র পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন জ্বালানি উপদেষ্টা।

রোজা ও গ্রীষ্ম মৌসুমে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে জানিয়ে এই সময়ে লোডশেডিং হবে না বলে আশা প্রকাশ করেছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।

সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার সয়দাবাদে অবস্থিত ৬৮ মেগাওয়াট সোলার পাওয়ার প্ল্যান্ট পরিদর্শন শেষে শুক্রবার বিকালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এসব কথা বলেন তিনি।

এ সময় জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম, পুলিশ সুপার মো. ফারুক হোসেন, পাওয়ার প্ল্যান্টের প্রকল্প পরিচালক তানভীর রহমানসহ বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তারা উপদেষ্টার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন।

ফাওজুল কবির সাংবাদিকদের বলেন, “আসন্ন রমজান ও গ্রীষ্ম মৌসুমে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে ইতোমধ্যে সব প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। বিদ্যুৎ উৎপাদনের জ্বালানি, গ্যাস ও কয়লা ক্রয়ের জন্য ডলারের ব্যবস্থা হয়েছে। প্রয়োজনীয় কয়লা ও গ্যাস সঠিক সময়ে আনা হবে।

“বিদ্যুৎ কেন্দ্রেগুলোর বাৎসরিক মেইনটেন্যান্স কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়েছে। কোনো বিদ্যুৎকেন্দ্রে যদি অনাকাঙ্খিত কোনো ঘটনা না ঘটে, তাহলে আমরা আশা করছি এ মৌসুমে বিদ্যুৎতের লোডশেডিং প্রয়োজন হবে না।”

জ্বালানি উপদেষ্টা বলেন, “রমজানের পর গরমের কারণে বিদ্যুৎতের চাহিদা বাড়লেও ইরিগেশনে (জমিতে সেচ কার্যক্রম) চাপ কমে আসবে। তাই ওই সময়ও বিদ্যুৎ নিয়ে তেমন সমস্যা হবে না।”

সোলার পাওয়ার প্ল্যান্ট পরিদর্শনের আগে সিরাজগঞ্জ শহররক্ষা বাঁধ হার্ডপয়েন্ট এলাকায় সাত দিনব্যাপী সপ্তম জাতীয় কমডেকার কার্যক্রম পরির্দশন করেন জ্বালানি উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।