দুপুর ১২টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় জারিয়া-জাঞ্জাইল পয়েন্টে ২৫০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে।
Published : 05 Oct 2024, 09:13 PM
ভারি বৃষ্টি ও উজানের ঢলে নেত্রকোণার দুর্গাপুর উপজেলার তিনটি ইউনিয়নের অন্তত ১৫ গ্রাম তলিয়ে গেছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন প্রায় ২০ হাজার বাসিন্দা।
শনিবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় জেলার জারিয়া-জাঞ্জাইল পয়েন্টে ২৫০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে; যা দেশের সর্বোচ্চ বলে নেত্রকোণা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী সারোয়ার জাহান জানান।
এ সময়ের মধ্যে দুর্গাপুর উপজেলায় ১৮৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
সারোয়ার জাহান জানান, বৃষ্টি আর উজানের ঢলে জেলার প্রধান নদ-নদীর পানি বেড়েই চলেছে। সোমেশ্বরী নদীর দুর্গাপুর পয়েন্টে শুক্রবার বিকাল ৬টা থেকে শনিবার বিকাল ৩টা পর্যন্ত ২১ ঘণ্টায় দুই দশমিক পাঁচ সেন্টিমিটার পানি বেড়েছে।
বর্তমানে সোমেশ্বরীর পানি বিপৎসীমার শূন্য দশমিক ৭৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে বইছে; আর নদীতে ঘণ্টায় প্রায় ১০ সেন্টিমিটার পানি বেড়েছে বলে জানান তিনি।
এ ছাড়া একই সময় উব্ধাখালী নদীর পানি কলমাকান্দা পয়েন্টে ৬১ সেন্টিমিটার বেড়েছে; যা বিপৎসীমার শূন্য দশমিক ৩৪ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে বইছে বলে জানায় পাউবো।
এদিকে কংশ নদের পানি বাড়ায় বন্যার শঙ্কা আরও বেড়েছে। এ নদের পানি জারিয়া-জাঞ্জাইল পয়েন্টে বেলা ৩টা পর্যন্ত গত ২১ ঘণ্টায় বেড়েছে এক দশমিক ৩৩ সেন্টিমিটার; যা বিপৎসীমার শূন্য দশমিক ৫৮ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে বইছে।
হাওরের মাঝ দিয়ে বয়ে চলা ধনু নদের পানি সামান্য বেড়েছে। খালিয়াজুরী পয়েন্টে নদের পানি একই সময়ে বেড়েছে পাঁচ সেন্টিমিটার; যা বিপৎসীমার দুই দশমিক শূন্য তিন সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে বইছে।
দুর্গাপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. মোস্তাফিজুর রহমান জানান, বৃষ্টির আর উজানের ঢলের পানিতে উপজেলায় কুল্লাগড়া, গাওকান্দিয়া ও কাকৈরগড়া ইউনিয়নের ১৫ গ্রামে তলিয়ে গেছে। এতে প্রায় ২০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন।
এদিকে পানিবন্দি এলাকায় বিশুদ্ধ পানির সংকট দেখা দিয়েছে বলে জানান দুর্গাপুর সাংবাদিক সমিতির সভাপতি দিলোয়ার হোসেন তালুকদার।
শনিবার বিকালে দুর্গাপুরে পানিবন্দি এলাকা পরিদর্শনে যান নেত্রকোণা জেলা প্রশাসক বনানী বিশ্বাস।
এ সময় তিনি কাকৈরগড়া ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রাম পরিদর্শন করেন। পরে তিনি রামবাড়ি গ্রামের শতাধিক মানুষের মাঝে শুকনো খাবার, চাল ও পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট বিতরণ করেন।
বন্যাকবলিতদের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়ে বনানী বিশ্বাস বলেন, দুর্ভোগে থাকা মানুষের খাদ্য সরবরাহ থেকে সব ধরণের সহায়তা দেওয়া শুরু করেছে প্রশাসন।