এ ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।
Published : 29 Apr 2024, 08:16 PM
ফেনীতে সড়ক ভবনের ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিকে মারধর করে দরপত্র জমা দিতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এক যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে।
সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সড়ক ও জনপথ বিভাগের ফেনী কার্যালয়ের গ্যারেজে এ ঘটনা ঘটে বলে ফেনী মডেল থানার ওসি মো. শহিদুল ইসলাম চৌধুরী জানান।
মারধরের শিকার আমান ফারহান ট্রেডার্স ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি মো. আলী আক্কাস উপজেলা যুবলীগের সদস্য সেন্টু মিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন।
সেন্টু মিয়া উপজেলার আমিরাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান এবং উপজেলা যুবলীগের সভাপতি আজিজুল হক হিররে অনুসারী বলে জানা গেছে।
ওসি শহিদুল বলেন, “এ সংক্রান্ত একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনার তদন্ত চলছে। সত্যতা পেলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
লিখিত অভিযোগে আলী আক্কাস বলেন, “ফেনীর সড়ক ও সেতু বিভাগ সম্প্রতি সোনাগাজী-নোয়াখালী সংযোগ সড়কের সাহেবের ঘাট ব্রিজের টোল আদায়ে ইজারাদার নিয়োগে টেন্ডার আহ্বান করে। টেন্ডার জমা দেওয়ার সপ্তম ধাপের শেষ দিন সোমবার দুপুরে টেন্ডার জমা দিতে আমি সড়ক ও জনপথ বিভাগের ফেনী কার্যালয়ে আসি।
“এ সময় আমাকে ডেকে সেতু ভবনের নিচে গ্যারেজে নিয়ে যান যুবলীগ নেতা সেন্টু ও টিপুসহ অজ্ঞাত পরিচয়ের ৩০-৩৫ জন। এক পর্যায়ে তারা সেখান থেকে ভবনের গ্যরেজে তুলে নিয়ে আমাকে মারধর করেন। এ সময় আমার হাতে থাকা মোবাইল ফোন, মানিব্যাগ ও টেন্ডারের ডকুমেন্টসহ সব ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় আমি বাদী হয়ে ফেনী মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছি।”
এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযোগ অস্বীকার করে যুবলীগ নেতা সেন্টু মিয়া বলেন, “আমি অসুস্থ হওয়ায় আজ বাড়ি থেকে বের হইনি। হামলার বিষয়টি ভিত্তিহীন। কেউ আমার বিরুদ্ধে হয়ত ষড়যন্ত্র করছে।”
সড়ক ও জনপথ বিভাগের ফেনীর নির্বাহী প্রকৌশলী বিনয় কুমার পাল বলেন, “টেন্ডার জমা দেওয়ার সময় বাধা দেওয়ার একটি অভিযোগ পাওয়া গেছে। আমরা প্রয়োজনে দরপত্র আবার আহ্বান করব।”