দুই ভাইবোনের চিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে গিয়ে বাড়ির গেট বন্ধ পায়। পরে গেট ভেঙে তাদের উদ্ধার করা হয়।”
Published : 25 Apr 2024, 05:13 PM
পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলায় খেলনা পুতুল পোড়াতে গিয়ে আগুনে দগ্ধ হয়ে নয় বছর বয়সী এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
ঈশ্বরদী থানার ওসি (তদন্ত) মনিরুল ইসলাম জানান, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার রাত পৌনে ১২টার দিকে মেয়েটির মৃত্যু হয়।
নিহত রিয়া খাতুন ঈশ্বরদী উপজেলার সলিমপুর ইউনিয়নের মানিকনগর গ্রামের মধ্যপাড়া এলাকার পিন্টু বিশ্বাসের মেয়ে এবং দিয়াড় সাহাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রী ছিল।
রিয়ার মামাত ভাই সৌরভ হোসেন প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে বলেন, “বুধবার রিয়া ও তার ছোট ভাই বাড়ির উঠানে মাটির খেলনা তৈরি করছিল। সেই খেলনা পোড়ানোর জন্য তারা আগুন জ্বালিয়েছিল।
“তবে অসাবধানতাবশত রিয়ার পরনের জামাতে আগুন লেগে যায়। এ সময় দুই ভাইবোনের চিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে গিয়ে বাড়ির গেট বন্ধ পায়। পরে গেট ভেঙে তাদের উদ্ধার করা হয়।”
তিনি বলেন, “ততক্ষণে রিয়ার শরীরের বেশিরভাগ অংশই পুড়ে যায়। দ্রুত তাদের উদ্ধার করে প্রথমে ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়। সেখানে দশ ঘণ্টা চিকিৎসাধীন থাকার পর হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।”
রিয়ার বাবা পিন্টু বিশ্বাস রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে চাকরি করেন। কান্না জড়িত কন্ঠে তিনি বলেন, “আগুন লাগার ঘটনার সময় শুধু রিয়া ও তার পাঁচ বছর বয়সী ছোট ভাই বাড়িতে ছিল। এছাড়া আমার আর কিছুই বলার নেই।”
ওসি মনিরুল ইসলাম বলেন, মেয়েটি মাটি দিয়ে পুতুল বানিয়ে আগুনে পোড়ানোর চেষ্টা করছিল। এ সময় তার কাপড়ে আগুন ধরে যায়। ঘটনার সময় বাড়ির প্রধান দরজা আটকানো ছিল। পরে প্রতিবেশীরা গিয়ে তাকে উদ্ধার করে।