Published : 28 Apr 2025, 08:45 PM
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে রেজিস্ট্রারের দপ্তরের সব কক্ষে তালা দেওয়ার ঘটনায় শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে।
রোববার রাতে বরিশাল মহানগর পুলিশের বন্দর থানায় জিডিটি করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা কর্মকর্তা সানোয়ার পারভেজ লিটন।
বন্দর থানার ওসি রফিকুল ইসলাম বলেন, থানায় জিডি করার জন্য লিখিত দেওয়া হয়েছে। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জিডিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী রাকিন খান, মিজানুর রহমান, তরিকুল ইসলাম ও এনামুল হক, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের নাজমুল ঢালী, লোকপ্রশাসন বিভাগের মোকাব্বেল শেখ, আইন বিভাগের তরিক হোসেন, রাষ্ট্রবিজ্ঞানের এম ডি শিহাব, কোস্টাল স্টাডিজ বিভাগের স্বপ্নীল অপূর্ব রকি ও রসায়ন বিভাগের রফিকের নাম রয়েছে। এ ছাড়া অজ্ঞাত আরও ১০-১২ জনকে আসামি করা হয়েছে।
জিডিতে বলা হয়েছে, আসামিরা বিভিন্নভাবে শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট করাসহ অরাজক পরিস্থিতি তৈরি করে বেড়ায়। তারা দলবল নিয়ে চলাচল করায় সাধারণ শিক্ষার্থীরা ভয়ে থাকে। এ ছাড়া অভিযুক্তরা বল প্রয়োগের মধ্যদিয়ে প্রশাসনিক কাজে বাধাগ্রস্ত করছে।
শনিবার তারা রেজিস্ট্রারের কার্যালয়ে ঢুকে বিভিন্ন ধরনের ভয় দেখিয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কার্যালয় থেকে বের করে দেয়। পরে তারা রেজিস্ট্রারের কক্ষসহ অন্যান্য কক্ষে তালা দিয়ে ভবনের মূল গেইট আটকে দেয়।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে শিক্ষার্থীদের একজন এম ডি শিহাব বলেন, “যৌক্তিক আন্দোলনকে দমন করতে এবং শিক্ষার্থীদের ভয়ভীতি দেখাতে সাধারণ ডায়েরি করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এমন কাজের তীব্র নিন্দা জানাই।”
শিক্ষার্থী মোশাররফ হোসেন বলেন, “হামলা-মামলা দিয়ে শিক্ষার্থীদের দমন করা যাবে না। স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা যেভাবে হামলা-মামলা দিয়ে বিরোধী মতকে অন্যায়ভাবে দমন করতে চেয়েছিল, ঠিক একইভাবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনও সেই কাজই করছে।”
শিক্ষার্থী রাকিন খান বলেন, “এসব করে উপাচার্য ফ্যাসিবাদের পুনর্বাসনের পথ সুগম করতে চায়। যা এই বিশ্ববিদ্যালয়ের মাটিতে করতে দেওয়া হবে না।”
এর আগে উপাচার্যের বাসভবনের গেইট ভাঙার অভিযোগে শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে একই থানায় একই কর্মকর্তা বাদী হয়ে একটি মামলাও করেছিলেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা কর্মকর্তা সানোয়ার পারভেজ লিটন বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী রেজিস্ট্রারের কক্ষ তালাবদ্ধ করে। এ কারণে কর্তৃপক্ষের নির্দেশক্রমে জিডি করা হয়েছে। উপর থেকে যে নির্দেশ দেওয়া হয় সেটাই আমার করতে হয়। এর আগেও মামলা উপরের নির্দেশে করা হয়েছে।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর অধ্যাপক সনিয়া খান সনি বলেন, “বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শুনেছি। আমি কিছু জানি না।”