তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সাটুরিয়া থানার ওসি।
Published : 03 Jan 2025, 12:16 AM
এসএসসি পরীক্ষার্থীসহ তিন শিক্ষার্থীকে হাতকড়া পরিয়ে থানার হাজতখানায় রাখার অভিযোগ উঠেছে মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া থানা পুলিশের বিরুদ্ধে।
মারামারি মামলায় বুধবার রাতে তাদের গ্রেপ্তার করে হাতকড়া পরিয়ে হাজতখানায় রাখা হয়। তবে সাটুরিয়া থানার ওসি অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
মামলার নথি থেকে জানা গেছে, সাটুরিয়া উপজেলার হরগজ গ্রামের কালু মিয়ার সঙ্গে একই গ্রামের মো. ফরিদ হোসেনের বিবাদ হয়।
নিয়ে ফরিদ হোসেন গত ২৮ ডিসেম্বর সাটুরিয়া থানায় মামলা করেন।
ওই মামলায় ১৩ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ১৫ জনকে আসামি রাখা হয়েছে।
আসামির তালিকায় আছে হরগজ উচ্চ বিদ্যালয়ের এক এসএসসি (ভোকেশনাল) পরীক্ষার্থী, সাটুরিয়া সৈয়দ কালুশাহ কলেজের একাদশ শ্রেণির ও মানিকগঞ্জ ন্যাশনাল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের প্রথম সেমিস্টারের ছাত্র।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ওই থানার এসআই মো. রায়হান বলেন, বাদী ওই তিন শিক্ষার্থীর বয়স ১৮ থেকে ২০ বছর দেখিয়েছেন। তাই তাদের গ্রেপ্তার করে থানায় আনা হয়েছে।
তিনি বলেন, পরের দিন বৃহস্পতিবার জানতে পেরেছি, তারা ছাত্র।
রাতে তাদের গ্রেপ্তার করা হলেও আদালতে এত দেরিতে পাঠানো হল কেন, জানতে চাইলে ওই কর্মকর্তা বলেন, “বয়স যাচাই-বাছাই করতে দেরি হয়েছে।”
সাটুরিয়া থানায় কথা হয় ওই তিন শিক্ষার্থীর সঙ্গে।
তাদের দাবি, কোনো মারামারি না করলেও মিথ্যা মামলায় তাদের গ্রেপ্তার করে হাতকড়া পরিয়ে থানায় এনে হাজতখানায় রাখা হয়েছে। তারা তীব্র শীতে সারারাত গারদে থেকেছে।
হরগজ শহীদ স্মৃতি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. বজলুর রহমান বলেন, “ওরা বয়সে ছোট, কিশোর। অপরাধ করে থাকলে তাদের জন্য শিশু-কিশোর আইন আছে। সেই আইনেই ব্যবস্থা নেওয়া উচিত ছিল বলে মনে করি।”
এসএসসি পরীক্ষার্থীর বাবা বলেন, পরীক্ষা সামনে রেখে তার ছেলেকে এখন মামলার বোঝা মাথায় নিয়ে ঘুরতে হবে আদালতের দুয়ারে।
আরেক শিক্ষার্থীর অভিভাবক বলেন, “আমার নিষ্পাপ সন্তানকে বিনা অপরাধে হাতে হ্যান্ডকাপ পরিয়ে হাজতখানায় রেখে তার ভবিষ্যৎ নষ্ট করে দিয়েছে। সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে আমি এর বিচার চাই।”
শিক্ষার্থীদের হাতকড়া পরানো ও হাজতখানায় রাখার বিষয়টি অস্বীকার করে সাটুরিয়া থানার ওসি মো. শাহিনুল ইসলাম বলেন, “একটি মামলায় তিনজনে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা যদি কিশোর হয় তবে তাদের বয়স যাচাই-বাছাই করে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”