বিরাট অংকের বিল বকেয়া হওয়ায় পাঁচ মাসের মাথায় ফের বরিশাল নগরীর সড়কবাতির বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে।
রোববার বিদ্যুৎ সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ওয়েস্টজোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানী (ওজোপাডিকো) লিমিটেড নগরীর ৪৩টি সড়কের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে।
ওজোপাডিকোর বরিশালের পরিচালন ও সংরক্ষণ সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী এটিএম তারিকুল ইসলাম এ কথা জানান।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে রোববার নগরীর ৪৩টি সড়কবাতির সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। এখনও ১৫/১৬টি সড়কের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়নি। বকেয়া পরিশোধ করলে বাকি সড়কের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হবে না।
“সিটি কর্পোরেশনের কাছে ৬০ কোটি টাকার বিদ্যুৎ বিল বকেয়া রয়েছে। তারা মৌখিকভাবে দেওয়ার কথা বলেছিল। কিন্তু দেয়নি, তাই বন্ধ করতে হয়েছে।”
এর আগে ২০২২ সালের ২০ সেপ্টেম্বর নগরীর ১৫টি সড়কের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। ২২ সেপ্টেম্বর রাত ১০টায় বরিশাল বিভাগীয় কমিশনারের মধ্যস্থতায় সিটি কর্পোরেশন ও ওজোপাডিকোর মধ্যে সমঝোতা বৈঠক হয়।
বৈঠকের পর সমস্যার সমাধান হয়েছে জানিয়ে তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী এটিএম তারিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেছিলেন, সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ, বিভাগীয় কমিশনার মো. আমিন উল আহসান।
ওই সময় তারিকুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছিলেন, বিভাগীয় কমিশনারের মধ্যস্থতায় সমাধান হয়েছে। এখন থেকে প্রতিমাসের বিদ্যুৎ বিল নিয়মিত পরিশোধ ও বকেয়া যে বিল রয়েছে সেটি ধীরে ধীরে পরিশোধ করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়।
তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী রোববার রাতে বলেন, “সিদ্বান্ত অনুযায়ী পাওনা পরিশোধে দফায় দফায় চিঠি পাঠানো হয়েছে; কিন্তু সিটি করপোরেশন থেকে আশানুরূপ কোনো সাড়া দেওয়া হয়নি।”
ওজোপাডিকোর বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ-১ এর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আমজাদ হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, তার আওতাধীন ১৬টি সড়কের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। সিদ্বান্ত অনুযায়ী প্রতিমাসের বিলও দেয়নি।
ওজোপাডিকোর বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ-২ এর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. ফারুক হোসেনকে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীর সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেন।
বরিশাল সিটি করপোরেশনের প্রশাসনিক কর্মকর্তা স্বপন কুমার দাস বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “কখন বন্ধ করেছে। আমি জানি না। খোঁজ নিয়ে বলতে পারব।”
রাতে সরেজমিনে নগরীর প্রধান সড়ক সদর রোড, ব্রাউন কম্পাউন্ড সড়কের কিছু অংশের বাতি বন্ধ দেখতে পাওয়া গেছে।