গ্রেপ্তাররা নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থী এবং তাদের বয়স ১৫ বছর বলে জানিয়েছে পুলিশ।
Published : 09 Jan 2024, 05:32 PM
আলমারিতে রাখা দশ লাখ টাকা লুট করার উদ্দেশ্যে নেত্রকোণায় জোছনা বেগমকে হত্যা করা হয়েছে বলে তদন্তে বের করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় গ্রেপ্তার হয়েছে তিন কিশোর।
নেত্রকোণার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার লুৎফুর রহমান জানান, সোমবার রাত ৩টার দিকে শহরের একটি বাসা থেকে জোছনার নাতিসহ ওই তিন কিশোরকে গ্রেপ্তার করেন তারা।
এর আগে রাত সোয়া ১১টার দিকে শহরের নিউটাউন বিলপাড় এলাকার নিজ ঘরের মেঝে থেকে হাত-পা বাধা অবস্থায় লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। রাতেই জোছনা বেগমের ছোট ছেলে নাজমুল হাসান রুজেন অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তিদের আসামি করে মামলা করেন।
মামলায় গ্রেপ্তাররা নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থী এবং তাদের বয়স ১৫ বছর বলে জানিয়েছে পুলিশ। (অপ্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ায় তাদের নাম প্রকাশ করা হলো না।)
গ্রেপ্তারদের বরাতে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বলেন, “নবম শ্রেণীর পরীক্ষা না দেওয়ায় জোছনার নাতিকে তার বাবা-মা বাসা থেকে তাকে বের করে দেন। এরপর থেকে সে বন্ধুর বাসাসহ বিভিন্ন স্থানে থাকত। কয়েকদিন ধরে জোছনা বাসায় একা ছিলেন এবং তার আলমারিতে দশ লাখ টাকা রয়েছে বলে জানতে পারে তার নাতি।
“ওই টাকা নিতে তিন বন্ধু মিলে পরিকল্পনা করে স্থানীয় ‘অ্যাপেক্স হাসপাতাল’ থেকে চেতনানাশক ইনজেকশন সংগ্রহ করে ৭ জানুয়ারি রাত ৯টার দিকে জোছনার বাসায় ঢোকে। পরে তারা বৃদ্ধার হাত-পা বেঁধে ইনজেকশন পুশ করে অচেতন করার পর শ্বাসরোধে হত্যা করে আলমারি থেকে টাকা নেওয়ার চেষ্টা করে।”
কিন্তু লকার ভাঙতে না পারায় আলমারিতে থাকা দুই হাজার টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়। পরে শহরের কোর্ট স্টেশন এলাকায় ইনজেকশন ও হাতের গ্লাবস পুকুরে ফেলে দেয় বলে জানান তিনি।
এএসপি আরও বলেন, “প্রাথমিক তদন্তে বৃদ্ধা হত্যায় তার নাতির জড়িত থাকার বিষয়ে পুলিশের সন্দেহ হয়। রাত ৩টার দিকে নাতি আটপাড়া থেকে তার মা ও বোনের সঙ্গে শহরের বাসায় ঢোকার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ তাকে আটক করে।
“জিজ্ঞাসাবাদে সে স্বীকার করলে তাকে নিয়ে তার দুই বন্ধুকে বাসা থেকে আটক করে পুলিশ। পরে তাদের তথ্যে পুকুর থেকে হত্যায় ব্যবহৃত সরঞ্জাম জব্দ করে পুলিশ।”
গ্রেপ্তার তিন কিশোরকে আদালতে তোলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানান এ পুলিশ কর্মকর্তা।