যশোরে নিখোঁজের এক দিন পর পুকুর থেকে ওই শিশুর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
Published : 03 Apr 2024, 10:38 PM
যশোর সদরে গর্ভের সন্তান নষ্ট করায় স্বামীর ওপর ক্ষোভ থেকে ৯ বছরের জোনাকিকে তার সৎ মা গলাটিপে হত্যা করে পুকুরে ফেলে দেয় বলে জানিয়েছে পুলিশ।
গ্রেপ্তার নারগিস বেগমকে জিজ্ঞাসাবাদে এ তথ্য পাওয়া গেছে বলে দাবি করেছেন যশোর ডিবি পুলিশের এসআই মফিজুর রহমান।
এক দিন আগের ঘটনায় করা মামলায় বুধবার যশোরের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম ইমরান আহমেদের আদালতে ওই নারী ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন বলে জানান তিনি।
মঙ্গলবার যশোর শহরের রেল গেইট এলাকার মডেল মসজিদের পেছনের পুকুর থেকে জোনাকির মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় তার সৎ মা নারগিসকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
নিহত জোনাকি বেনাপোল পোর্ট থানার পোড়াবাড়ি গ্রামের শাহীন তরফদারের মেয়ে। গ্রেপ্তার নারগিস শাহীনের তৃতীয় স্ত্রী। নারগিস যশোর রেল গেইট পশ্চিমপাড়ার নুর ইসলামের মেয়ে।
এসআই মফিজুর রহমান দাবি করেন, “শাহিন তরফদারের সঙ্গে বিয়ের সাড়ে তিন বছরে দুবার তার গর্ভের সন্তান নষ্ট করা হয়েছে। সন্তান নিতে না দেওয়ায় ও সৎ মেয়ে জোনাকিকে বেশি ভালোবাসায় ক্ষোভ থেকে তিনি এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন।
“বিয়ের আগে নারগিস সৌদি আরবে ছিলেন। সেখান থেকে উপার্জিত অর্থ শাহিন তার মেয়েদের জন্য খরচ করতেন; যা তিনি মানতে পারতেন না।”
এসআই দাবি করেন, “সোমবার সকালে জোনাকিকে গলাটিপে হত্যা করেন নারগিস। লাশ ঘরের মধ্যে লুকিয়ে রেখে তাকে খোঁজার অভিনয় করেন। এরপর স্বামীকে ফোন দিয়ে জানান জোনাকিকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
“শাহিন বাড়িতে ফিরে জোনাকিকে খুঁজতে বেরিয়ে যান। এ সুযোগে নারগিস লাশ নিয়ে পাশের পুকুরে ফেলে দেন।”
এ ঘটনায় নারগিসকে আসামি করে শাহিন যশোর কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন বলে জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।
আরও পড়ুন: