কোভিড-১৯ এর সময় শিশুরা বেশি ঝরে পড়েছে বলে মন্তব্য করেছেন অধ্যাপক বিধান রঞ্জন রায়।
Published : 21 Nov 2024, 06:49 PM
সরকারি বিদ্যালয় থেকে শিক্ষার্থী ঝরে পড়ার বেশ কিছু কারণ উল্লেখ করেছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার।
তিনি বলেছেন, শিশুরা ঝরে পড়ার একটা গুরুত্বপূর্ণ কারণ ছিল কোভিড-১৯ এর সময়, যা বিভিন্ন প্রতিবেদনে এসেছে। মহামারির কারণে সরকারি স্কুল বন্ধ ছিল। তবে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চালু ছিল। ফলে সরকারি স্কুলের শিশুরা ঝরে পড়ছে।
বৃহস্পতিবার সকালে টাঙ্গাইল শহরের মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শনে গিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।
বিধান রঞ্জন রায় বলেন, “ঝরে পড়ার আরেকটি কারণ, অনেক বাচ্চার বাবা-মা চাকরি করেন। তাদের অফিসে যাওয়ার ফাঁকে বাচ্চাকে বিদ্যালয়ে নিয়ে আসা-যাওয়ার সময়টা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে মেলে না।
“বাধ্য হয়ে তারা, অন্য বিদ্যালয়ে দিয়ে দেন, যেখানে বাচ্চাকে রাখার সুযোগ আছে। এ ছাড়া অনেক সরকারি বিদ্যালয় রয়েছে, যেগুলো নিয়মিত চলে না। ফলে শিক্ষার্থীরা ঝড়ে পড়ছে।”
বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে ছাত্র সংগ্রহ করেন উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, “আমাদের ম্যাকানিজম ডেভেলপ করে নাই। যার কারণে সরকারি স্কুলে ছাত্র ভর্তি কম হচ্ছে এবং ঝরে পড়ছে। বিষয়টা আমরা জানি এবং কীভাবে রোধ করা যায় সে ব্যাপারে ব্যবস্থা নিচ্ছি।”
নদী ভাঙন কবলিত এলাকার জন্য আলাদা কোনো ব্যবস্থা না থাকায় সেখানকার শিশুরা ঝরে পড়ছে বলেও উল্লেখ করেছেন বিধান রঞ্জন রায়।
তিনি বলেন, “আমি যে অঞ্চলে এই ধরনের সমস্যা দেখব, সেখানে কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিব, তথ্য নিয়ে পরিসংখ্যান দেওয়ার জন্য। প্রস্তাব করা জন্য। তবে দূর থেকে সব বোঝা যায় না। স্থানীয়দের সঙ্গে আলোচনা করে বিকল্প সমাধান দেওয়া যেতে পারে। সে অনুযায়ী কি ব্যবস্থা নেওয়া যায়, সেটা দেখব।”
এর আগে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা বিদ্যালয়ের কার্যক্রম পরিদর্শন করেন। এ ছাড়া শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নানা বিষয় নিয়ে কথা বলেন তিনি।
এ সময় টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসক শরিফা হক, টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) জিয়াউল ইসলাম চৌধুরী, টাঙ্গাইল জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সাহাব উদ্দিন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর-সার্কেল) সোহেল রানা এবং মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা তসলিমা জাহান উপস্থিত ছিলেন।